শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গাংনী ও আড়াইহাজারে কাঁঠালে ছেয়ে গেছে গাছ

ম স্বদেশ ডেস্ক
  ২০ মে ২০২২, ০০:০০

জাতীয় ফল কাঁঠাল। ফলের রাজা হিসেবেও সবার কাছে সমাদৃত। এটি শুধু একটি মৌসুমী ফলই নয়, পুষ্টিগুণে ভরপুর ও অর্থকরী ফসল হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। এ বছর অন্যান্য এলাকার মতো মেহেরপুরের গাংনী ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। গাছে গাছে ছেঁয়ে গেছে কাঁঠাল। বাজারে বিক্রি করে লাভবান হওয়ার আশা করছেন স্থানীয়রা। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

গাংনী (মেহেরপুরে) : মেহেরপুরের গাংনীর সর্বত্র এখন গাছগুলো ঝুলন্ত কাঁঠালে ছেঁয়ে আছে। কোনো কোনো এলাকায় আগাম জাতের কাঁঠাল পাকতে শুরু করেছে। পাকা কাঁঠালের মিষ্টি গন্ধে কীট-পতঙ্গরা ভিড় করছে গাছে গাছে। আর সেই আনন্দে বাগান মালিকরা গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত। তবে কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাতকরণের কোনো সুবিধা না থাকায় এ এলাকার মানুষ চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কাঁঠাল গাছগুলো ফলে ফলে ভরে গেছে। প্রতিটি গাছে ১০০ থেকে ২০০ পর্যন্ত ফল ধরেছে। বছর দশেক আগেও আম-কাঁঠালের বাগান ছিল। এখন শুধু আমের বাগান রয়েছে। এখানকার অধিকাংশ কাঁঠালগাছ বাগানভিত্তিক না। বাড়ির আঙিনায়, রাস্তার দুই ধারে, স্কুল-কলেজ চত্বরে প্রচুর কাঁঠাল গাছের দেখা মেলে।

কাঁঠাল ব্যবসায়ীরা জানান, হাট-বাজারগুলোতে পাকা কাঁঠাল উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই আছেন প্রতি বছরই প্রায় এক থেকে দেড় লক্ষাধিক টাকার কাঁঠাল বিক্রি করেন। দুই থেকে তিন মাস কাঁঠালের ভরা মৌসুম। এ সময় পাইকার ও শ্রমিক শ্রেণির লোকদের বাড়তি আয়ের সুযোগ হয়।

উপজেলা কৃষি অফিসার লাভলী আকতার জানান, এলাকায় কোনো কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত করার ব্যবস্থা না থাকায় কৃষকরা তাদের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত ব্যবস্থা গড়ে তুললে এ উপজেলার মানুষ অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে।

আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) : নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে যদিও নিয়মানুযায়ী আম-কাঁঠালের চাষ হয় না, তবুও বছরের এ সময় এলাকার শৌখিন ফলের বাগান মালিকদের ছোট ছোট বাগানে এবং রাস্তার পাশে রোপিত আম-কাঁঠাল গাছে ঝুলে থাকতে দেখা যাচ্ছে। মধু মাস চলছে, তাই এ বছরও এর ব্যতিক্রম নয়। উপজেলার আড়াইহাজার-জাঙ্গালিয়া সড়কের ফতেপুর ইউনিয়নের কাইমপুর এলাকায় রাস্তার দুই পাশে অনেক কাঁঠালগাছ রয়েছে। প্রতি বছর এ গাছগুলোতে অনেক কাঁঠাল ধরে। কাইমপুর এলাকার লাল মিয়া জানান, রাস্তার পাশের গাছগুলোতে যে কাঁঠাল হয় এর রোয়াগুলো ছোট ছোট হলেও সেগুলো হয় অনেক বেশি মিষ্টি। উপজেলার পাঁচগাঁও, চরপাড়া, পাঁচরুখী, ছনপাড়া, সাতগ্রাম, পুরিন্দা এ সব এলাকায় বেশ কয়েকটি ছোট-বড় বাগানে আম-কাঁঠালের চাষ করা হয়ে থাকে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান ফারুকী বলেন, আসলে আড়াইহাজারে বাণিজ্যিকভাবে আম-কাঁঠাল চাষের কোনো কার্যক্রম না থাকায় তারা কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেন না। তবে যদি কোন কৃষক নিজে উদ্যোগী হয়ে আম-কাঁঠালের বাগান করার জন্য পরামর্শ চান সেটা দিতে তারা বদ্ধপরিকর।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে