রামপাল-গোনাবেলাই সড়কের কাজ তিন বছরেও শেষ হয়নি

প্রকাশ | ২৪ মে ২০২২, ০০:০০

ম রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
বাগেরহাটের রামপালে ৩ বছরেও শেষ হয়নি সড়কের নির্মাণকাজ -যাযাদি
বাগেরহাটের রামপাল এলজিইডির গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে জনগুরুত্বপূর্ণ ফায়ার সার্ভিস মোড় থেকে বেলাইব্রিজ পর্যন্ত ৫.১০০ কিলোমিটার সড়কটির নির্মাণকাজ গত ৩ বছরেও শেষ করতে পারেনি। এতে মোংলাগামী ও এর আশপাশের এলাকার বহু মানুষকে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকাবাসী ও রামপাল উপজেলা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির নেতাদের আবেদন নিবেদনেও সমস্যার সমাধান হয়নি। রামপাল উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বেলাই ব্রিজ হতে রামপাল সদরের ফায়ার সার্ভিস মোড় পর্যন্ত ৫.১০০ কি.মি সড়কটি নির্মাণের জন্য বরাদ্দ হয় ৪ কোটি ৫৬ লাক ৭২ হাজার ১৮৪ টাকা। খুলনার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম এ জলিল খান সড়কটি নির্মাণ করছিলেন। স্থানীয়ভাবে কাজটির দেখভাল করছিলেন জিয়াউর রহমান নামের এক প্রতিনিধি। জানা গেছে, সড়কটি নির্মাণ শুরু হয় গত ২০১৮ সালের ৩ মে। যা সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের ২ মে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্মাণ শেষ না হওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বৃদ্ধির আবেদন করে। এতেও তারা যথাসময়ে কাজ শেষ করতে পারেনি। এরপর রামপাল উপজেলা এলজিইডির পক্ষ থেকে তাদের ৩ বার নোটিশ পাঠান হলেও সাড়া দেননি বলে এলজিইডি কর্মকর্তা গোলজার হোসেন দাবি করেন। ইতোমধ্যে ওই সড়কটির ৬৫ শতাংশ নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি মহিউদ্দিন শেখ জানান, বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও জনগুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কটি নির্মাণ সম্পন্ন হয়নি, এটা দুঃখজনক। ওই সড়কটি নির্মাণ হলে রামপাল থেকে মোংলার দূরত্ব ১০ কিলোমিটার কমে যেত। এতে সড়কে চলাচলকারী হাজারো মোংলা ইপিজেডগামী শ্রমিকসহ মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী ও ওই এলাকার মানুষের বিরাট উপকার হতো। তাদের যাতায়াতে পরিবহণ ব্যয় ও সময়ের সাশ্রয় হতো। এত জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির নির্মাণকাজ গত ৩ বছরেও সম্পন্ন করা গেল না, এটা নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি আছে বলে মনে করেন ওই নেতা। এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী গোলজার হোসেন জানান, 'ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজে গাফিলতি করেছেন। আমরা নোটিশ করেও তাদের দিয়ে কাজ করাতে ব্যর্থ হয়েছি। তাদের কার্যাদেশ বাতিলের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে বরাবর চিঠি পাঠিয়েছি। তাদের কার্যাদেশ বাতিল করা হবে।