রংপুরে দেড়শ কোটি টাকার হাইটেক পার্ক উদ্বোধন আজ

প্রকাশ | ২৬ মে ২০২২, ০০:০০

ম রংপুর প্রতিনিধি
দীর্ঘ চার বছর প্রতিক্ষার পর অবশেষে রংপুরে শুরু হচ্ছে হাইটেক পার্কের নির্মাণকাজ। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা। আজ বৃহস্পতিবার হাইটেক পার্ক নির্মাণের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। এ জন্য রংপুর জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টারে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-১) বিকর্ণ কুমার ঘোষ স্বাক্ষরিত একটি আমন্ত্রণপত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। জানা গেছে, ভারতীয় অর্থায়নে রংপুরসহ বাংলাদেশের ১২টি জেলায় আইটি অথবা হাইটেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পের উদ্যোগ নেয় সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় রংপুরে এ পার্ক শুরু হতে যাচ্ছে। ২০১৮ সালে রংপুরে হাইটেক পার্ক নির্মাণ শুরু হওার কথা ছিল। নির্মাণকাজ শুরুর আগেই ২০২০ সালের জুনে এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এ নিয়ে হতাশ ছিল রংপুরবাসী। দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে রংপুর সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খলিশকুড়ি এলাকায় বহুল প্রতীক্ষিত হাইটেক পার্কের কাজ শুরু হচ্ছে। এদিকে, ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানকে ঘিরে বর্ণাঢ্য কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। আজ সকাল ১০টায় ভার্চুয়াল পস্ন্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হবে। এরপর মোনাজাত শেষে সকাল পৌনে ১১টায় রংপুর জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভাপতিত্ব করবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। উপস্থিত থাকবেন জেলা পর্যায়ে আইটি অথবা হাইটেক পার্ক স্থাপন প্রকল্প পরিচালক এ কে এ এম ফজলুল হক, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ, রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রল্পের পরিচালক হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-১) বিকর্ণ কুমার ঘোষ প্রমুখ। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুক বলেন, প্রতি বছর কয়েক লাখ তরুণ-তরুণী পড়া লেখা শেষ করছে। তাদের বেশিরভাগই শিক্ষিত বেকার হয়ে থাকছে। যেহেতু রংপুরে ভারি শিল্পকারখানা নেই, সে সেক্ষেত্রে আইটিনির্ভর হাইটেক পার্কটি গড়ে তোলা জরুরি। তিনি বলেন, হাইটেক পার্ক বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চলের যুবকরা কাজের সুযোগ পাবে। তারা মেধা দিয়ে এ কাজ করবে। তথ্যের প্রসার ও আইটি বিভাগ আরও প্রসারিত ও জনবান্ধব হবে। ফলে বাংলাদেশে সফটওয়্যার শিল্পের আরও বিকাশ ঘটবে। জাতীয় রাজস্ব আয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে এ পার্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। জানা যায়, ১৫০ কোটিরও বেশি টাকা ব্যয়ে রংপুরে হাইটেক পার্ক স্থাপনের পরিকল্পনা হিসেবে নগরীর খলিশাকুড়িতে প্রায় ৯ একর খাসজমি বন্দোবস্ত করে দেয় রংপুর জেলা প্রশাসন। বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী ডক্টর এম এ ওয়াজেদ মিয়ার নামে এ পার্কের নামকরণের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।