আজকের যায়যায়দিন

সরকার কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণ করতে চায় বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ডক্টর মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেছেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এখন আমরা উৎপাদিত খাদ্যকে পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং নিরাপদ করার জন্য কাজ করছি। কৃষির উৎপাদন যেন কৃষকের শুধুমাত্র খাদ্য চাহিদা পূরণের সহায়ক না হয়ে অর্থকরী ফসলে পরিণত হয়।'

মন্ত্রী বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার ভেষজ গ্রামের খোলাবাড়িয়া মধ্যপাড়া গ্রামে আদর্শ কৃষক জয়নাল আবেদীনের সাড়ে পাঁচশ' প্রজাতির ঔষধি গাছের মাঠ (ভেষজ মিউজিয়াম) পরিদর্শনের সময় এসব কথা বলেন। পরে তিনি আমিরগঞ্জ ঈদগাহ মাঠে ভেষজ গ্রামের কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন ভেষজ কৃষক দেলোয়ার হোসেন, হাসিবুল হাসানসহ ভেষজ গ্রামের কৃষকরা। তারা তাদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে তা সমাধানের দাবি জানান।

এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, নাটোরের ঔষধি গ্রামে উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ এলোভেরা অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। আন্তর্জাতিক বাজারে এলোভেরার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে সবকিছু থেমে ছিল। এখন সে সংকট কেটে গেছে। এলোভেরাসহ উৎপাদিত অন্যান্য ভেষজ প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বিপণন করতে পারলে কৃষকরা উপকৃত হবেন। কৃষকদের স্বার্থে এজন্য কৃষি মন্ত্রণালয় কার্যকর সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি, হুসনে আরা এমপি, শামীমা ইয়াসমীন এমপি, নাটোর সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ডিজি বেনজির আলম, ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের ডিজি শাজাহান কবীর, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা প্রমুখ।

বাড়ছে খাদ্য ও পানীয় জলের সংকট / বন্যপ্রাণীদের ওপর পড়ছে দাবদাহের বিরূপ প্রভাব

এর আগে বুধবার রাতে নাটোরের প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রী বলেন 'ধান চালের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের আশায় ধান মজুত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে।'