যশোরের শার্শার দুর্গাপুর গ্রামের গৃহবধূ সাফিয়া খাতুন হত্যা মামলায় স্বামী মোফাজ্জেল হোসেন মিন্টুকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ সামছুল হক এক রায়ে এ দন্ডাদেশ দিয়েছেন। দন্ডপ্রাপ্ত মিন্টু দুর্গাপুর গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনাকারী স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ মোস্তফা রাজা রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০০২ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিকেলে সাফিয়া গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে পিতার বাড়িতে সংবাদ আসে। পুলিশ এদিন সাফিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে সাফিয়া খাতুনকে শ্বাসরোধে করে হত্যা করা হয়েছে বলে উলেস্নখ করা হয়। এ রিপোর্ট পাওয়ার পর নিহতের মা একই গ্রামের হযরত আলীর স্ত্রী কদবানু বাদী হয়ে শার্শা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় নিহতের স্বামী মোফাজ্জেল হোসেন মিন্টুকে অভিযুক্ত ও অপর চারজনের অব্যাহতি চেয়ে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই লিয়াকত হোসেন।
অন্যদিকে স্টাফ রিপোর্টার, নেত্রকোনা জানান, নেত্রকোনায় স্ত্রী ঝুমা রানী দাসকে (২৫) হত্যার দায়ে স্বামী বীরবল চৌহানকে (৪০) ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে নেত্রকোনা জেলা ও দায়রা জজ মো. শাহজাহান কবির এ আদেশ দেন। বীরবল চৌহান সদর উপজেলার চলিস্নশা বাজার এলাকার রাম সিংহ চৌহানের ছেলে এবং জেলা শহরের নাগড়া এলাকার বাসিন্দা।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জেলা শহরের নাগড়া এলাকার বাসিন্দা বীরবল চৌহানের সঙ্গে কিছুদিন ধরে স্ত্রী ঝুমা রানী দাসের পারিবারিক কলহ চলছিল। এরই জের ধরে ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর দুপুরে বীরবল চৌহান তার ঝালমুড়ির দোকানের পিয়াজ কাটার ছুরি দিয়ে ঝুমার শরীরে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এতে করে ঝুমা রানী দাস ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় ওইদিনই ঝুমা রানী দাসের মা হেনা রানী দাস বাদী হয়ে বীরবল চৌহানের বিরুদ্ধে নেত্রকোনা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
Copyright JaiJaiDin ©2022
Design and developed by Orangebd