গত ৭ দিন আগ পর্যন্ত বন্যার পানি নেমে আসছিল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মুশলধারে বৃষ্টি হওয়ার কারণে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরসহ নিকলী ও কুলিয়ারচরের ঘোড়াউত্ররা, ধনু নদী ও মেঘনার পানি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জানা যায়, সিলেটের পাহাড়ি ঢলে আবারও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। বাড়ি-ঘর নতুনভাবে পস্নাবিত হচ্ছে। খেটে খাওয়া মানুষ এখন আশ্রয়হীন হয়ে পড়ছে। কিছু গরিব মানুষ বেকার হয়ে পড়ছে। তাদের পরিবার নিয়ে কোথায় দাঁড়াবেন তা বুঝতে পারছেন না। গত কয়েক বছর আগে বন্যার কারণে অনেকেই বাড়ি-ঘর ছেড়ে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন শহরে এখন দিনমজুরের কাজ করছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন হাওড়ে ঘুরে দেখা গেছে, ৩ উপজেলা পানিতে ডুবে যাওয়ায় পুকুরগুলোর মধ্যে আবার নতুন করে বন্যার পানি প্রবেশ করায় তাদের নতুনভাবে ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। এসব পুকুরের মালিকরা কয়েকশ' কোটি টাকার এ পর্যন্ত ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তারা এখন সহায়সম্বলহীন অবস্থায় পড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন। অন্যদিকে নদীর পাড়ের জেলেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাছ ধরার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কোনো রকম পরিবারকে বাঁচানোর জন্যই তাদের এই পন্থা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলে অনেক জেলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে মৎস্য পুকুরের মালিকদের একমাত্র আবেদন সরকার যেন তাদের প্রণোদনার ব্যবস্থা করে।