ডাকাতসহ চার জেলায় ১৪ জন গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০২২, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
চার জেলায় ডাকাতসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কুমিলস্না, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নাটোর ও সিরাজগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর- স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পাঁচ ডাকাতকে জনগণের সহায়তায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদের সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের জাফরগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন মজলিশপুর ইউনিয়নের জাফরগঞ্জ গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে কামাল মিয়া (৪৫), একই এলাকার জামাল মিয়ার ছেলে শাহীন মিয়া (২৭), আবদুল বারেকের ছেলে মুক্তার মিয়া (২৫), দোলোয়ার আলীর ছেলে ফারুক মিয়া (২০) ও আমির হোসেনের ছেলে জুনায়েদ মিয়া (২৫)। পুলিশ জানায়, পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে মজলিশপুর এলাকায় গরু চোরের উপদ্রব বেড়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাফরগঞ্জ এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে স্থানীয় জনগণ পাঁচ ডাকাতকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, আটকরা পেশাদার ডাকাত। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। স্টাফ রিপোর্টার, কুমিলস্না জানান, একটি প্রতিষ্ঠানের এক নারী পার্টনার তার অনাগত সন্তানের পিতৃত্বের স্বীকৃতি ও ঘটনার বিচার দাবির মামলায় চাষি মামুন নামে এক এনজিও কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত গভীর রাতে ঢাকার মীরবাগ এলাকা থেকে কুমিলস্না কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে। গ্রেপ্তার চাষি মামুন এসএমই ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আলমগীর জানান, মামলাটি দায়েরের পর থেকে আসামি চাষি মামুন পলাতক ছিলেন। বুধবার রাতে তাকে ঢাকার মীরবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কুমিলস্না কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। নাটোর প্রতিনিধি জানান, নাটোরে সংঘবদ্ধ মোটরসাইকেল ছিনতাইকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে তাদের কাছ থেকে চারটি মোটরসাইলে ও ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার নাটোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার অতিরিক্ত ডিআইজি লিটন কুমার সাহা। পুলিশ সুপার অতিরিক্ত ডিআইজি লিটন কুমার সাহা জানান, মোটরসাইকেল ব্যবহার করে মোটরসাইকেল ছিনতাই করাই এই চক্রের নেশা। তিনি জানান, চলতি বছরের ৩০ মার্চ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত সিংড়া ও বড়াইগ্রাম উপজেলায় সংঘটিত তিনটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলার পর পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু করে। তদন্তের এক পর্যায়ে পুলিশ সন্দেহভাজন পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তাররা হলেন সিংড়া উপজেলার নাছিয়ারকান্দি এলাকার মৃত পঁচা সরদারের ছেলে আব্দুল করিম, একই উপজেলার কালীনগর গ্রামের রূপচাঁদ আলীর ছেলে সোহেল রানা, শিবপুর গ্রামের আলাল উদ্দিন মৃধার ছেলে রাজিম ওরফে রাজীব ওরফে রাজু ও কলম লক্ষ্ণীপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে ইয়াকুব আলী এবং পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার নওয়াগ্রাম এলাকার হাছেন আলীর ছেলে রইচ উদ্দিন ওরফে রাজ ওরফে মামুন। পরে তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত চারটি মোটরসাইকেল ও ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। মনোহরগঞ্জ (কুমিলস্না) প্রতিনিধি জানান, কুমিলস্নার মনোহরগঞ্জে দুই ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি তাজুল ইসলাম তালুকদার হিরু (৩৮) ও আবুল হাসেমকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুক্রবার তাদের কুমিলস্নার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর রামপুরা এলাকা থেকে সিআর মামলার সাজাপ্রাপ্ত ও অপর আরেকটি জিআর মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মনোহরগঞ্জ উপজেলার শোয়ারী গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে গাঁজাসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে বেলকুচি পৌর এলাকার শেরনগর গ্রাম থেকে ১১০ গ্রাম গাঁজাসহ আলমাস মোলস্নাকে (৫০) গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আলমাস মোলস্না শেরনগর গ্রামের মৃত মুসা মোলস্নার ছেলে। বেলকুচি থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে শেরনগর এলাকা থেকে ১১০ গ্রাম গাঁজাসহ আলমাস মোলস্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।