তিন জেলায় ৭ জেলেকে জরিমানা, মাছ ও জাল জব্দ

প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০২২, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
তিন জেলায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকারের অপরাধে সাত জেলেকে জরিমানা, মাছ ও জাল জব্দ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম, পাবনা ও ভোলায় এ জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর- বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নিষিদ্ধ সময়ে (৬৫ দিন) সাগরে মাছ শিকারে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সাত জেলে। খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে মাছ সংরক্ষণ, বরফ উৎপাদন ও বিপণনের দায়ে ১৬টি কোল্ড স্টোরেজের বিদু্যৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখিল ইউনিয়নের সরকার বাজার উপকূলসংলগ্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, সাগরে মাছ শিকারে যাওয়ার প্রস্তুতিকালে সাত জেলেকে আটক করে প্রত্যেককে মৎস্য সম্পদ রক্ষা ও সংরক্ষণ আইনে ৫ হাজার টাকা করে মোট ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া মাছ সংরক্ষণ, মাছ সংরক্ষণের জন্য বরফ উৎপাদন ও বিপণনের দায়ে ১৬টি কোল্ড স্টোরেজের বিদু্যৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ সময়ে (৬৫ দিন) মাছ ধরা বন্ধ নিশ্চিত করতে বাঁশখালীতে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান। ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি জানান, পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে দ্বিতীয়বারের মতো মৎস্য সংরক্ষণ আইনে অভিযান চালিয়ে ৪০টি চায়না দুয়ারি জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে ভস্মীভূত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গুমানীর পুঁইবিল-এরশাদনগর এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে ছোট-বড় সব প্রজাতির মাছ নিমেষেই ধরা পড়ায় হুমকির মুখে পড়ে দেশীয় প্রজাতির মাছ। উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে বৃহস্পতিবার উপজেলার গুমানী নদীর পুঁইবিল-এরশাদনগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা, সম্প্রসারণ মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলী আজম উপস্থিত ছিলেন। দৌলতখান (ভোলা) প্রতিনিধি জানান, ভোলার দৌলতখান থেকে সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির ৫ মণ মাছ জব্দ করা হয়েছে। পরে সামুদ্রিক মৎস্য আইনে জব্দ মাছ নিলামে তোলে সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার ৪০০ টাকা বিক্রি করা হয়। শুক্রবার সকালে বাংলাবাজার এলাকা থেকে ওই মাছ জব্দ করেন উপজেলা মৎস্য বিভাগ। দৌলতখান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হাসনাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সামুদ্রিক মাছ ভোলার চরফ্যাশন থেকে চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছিল- এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বাংলাবাজার এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে চারটি ঝুড়ি থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ৫ মণ সামুদ্রিক মাছ জব্দ করা হয়। তবে মাছের সঙ্গে জড়িতরা আমাদের উপস্থিত টের পেয়ে পালিয়ে যান। তাই কাউকে আটক করা যায়নি। পরে জব্দ মাছ সামুদ্রিক মৎস্য আইনে নিলামে বিক্রি করা হয়। এ সময় বাংলাবাজার পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ মোহাম্মদ ফরিদ সংগীয় ফোর্স নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।