উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণের ফলে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পাশ দিয়ে প্রবাহিত হওয়া আত্রাই নদীর পানি বাড়ছে। এতে পস্নাবিত হওয়ার আশংকায় নদী তীরবর্তী প্রায় ১৪টি গ্রাম। হঠাৎ পানি ঢুকে পড়ায় পাট, ধানসহ শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং অনেকেই অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।
সরেজমিনে খানসামা আত্রাই সেতু পাড়ে দেখা যায়, নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার অতিক্রম করেছে। গত কয়েক দিনের চেয়ে সময়ের সঙ্গে পানির পরিমাণ বৃদ্ধি হচ্ছে। এতে চিন্তিত রয়েছেন নদী পাড়ের মানুষ। উপজেলার চাকিনীয়া ঠুটির ঘাট, শুড়িগাঁও, আগ্রা দুপরুরঘাট, আশার ডাঙ্গা, গুলিয়ারা শিবতলা, জোয়ার, কালীরবাজার, কায়েমপুর, জোয়ার, নেউলা, গোবিন্দপুরসহ কয়েকটি এলাকায় নদীভাঙন শুরু হয়েছে ও বসতবাড়িতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এতে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন তীরবর্তী এলাকা ও নিম্নাঞ্চলের মানুষ।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাওয়ার সঙ্গে নদীর পানিও কমে যাবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এনামুল হাসান বলেন, নদীর পাড়ের মানুষের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে ও পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) এ টি এম সুজাউদ্দিন শাহ লুহিন বলেন, নদীর পানি বাড়লে প্রতি বছরই তীরবর্তী মানুষ দুশ্চিন্তায় দিন কাটায়। এ জন্য আত্রাই নদীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি প্রয়োজন। এটি হলে জানমালের ক্ষতির পরিমাণ কমবে।
এদিকে পানিবন্দি এসব এলাকা পরিদর্শন করেন নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন, প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা ও স্বেচ্ছাসেবকরা।