গাংনীতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৪০ হাজার ৭৪৮টি গরু

প্রকাশ | ০৪ জুলাই ২০২২, ০০:০০

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন মেহেরপুরের গাংনীর খামারিরা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ব্যস্ত গরুর পরিচর্যায়। কৃত্রিম উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার ব্যবহার করছেন তারা। তবে ভারত থেকে গরু আমদানির আশঙ্কায় চিন্তিত খামারিরা। এদিকে ক্রেতাদেরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পশু ক্রয় ও কোরবানি করার পরামর্শ প্রাণী বিশেষজ্ঞদের। গাংনী উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের হিসাব মতে, উপজেলায় কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বাণিজ্যিক ও পারিবারিক ১৪ হাজার ৪২৩টি খামারে ৪০ হাজার ৭৪৮টি গরু এবং ৯৪ হাজার ৬১২টি ছাগল ও ভেড়া প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বছরজুড়ে গরুর দাম বেশি থাকায় কোরবানির সময় কাঙ্ক্ষিত মূল্য পাবেন বলে আশা খামারিদের। ধানের বিচালি, কাঁচা ঘাস, খৈল, গমের ভুসি, ছোলা, ভাত, চালের কুঁড়া ইত্যাদি খাইয়ে গরু মোটাতাজা করেছেন এসব খামারি। কতিপয় অসাধু খামারির কারণে প্রকৃত খামারিরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন সেদিকে নজর রাখতে এবং অসাধু খামারিকে চিহ্নিতের দাবি জানিয়েছেন তারা। গাংনীর বালিয়াঘাট মা এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী আবু নাঈম জানান, তার খামারে ৬০টি গরু মোটা তাজাকরণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ৪০টি হরিয়ান ও ২০টি নেপালি জাতের গরু। সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খাওয়াচ্ছেন তিনি। খরচও কম। অন্যান্যবার অনেক খামারি হরমোন জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করে মোটাতাজাকরণ করায় বেশ কয়েকটি গরু মারা যায়। আবার বিক্রি করতে না পারায় গরুগুলো ফেরত আনতে বাধ্য হয়েছেন। এ জন্য দেশীয় প্রযুক্তিতে গরু পালন করা হচ্ছে। তবে ভারত থেকে পশু আমদানি না করা হলে কাঙ্ক্ষিত মূল্য পাবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। গাংনীর মালসাদহ গ্রামের গরুর খামারি ইনামুল হক জানান, তার খামারে ১৮টি নেপালি ও ১২টি হরিয়ান জাতের গরু আছে। দেশীয় পদ্ধতিতেই গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে। কুঞ্জনগরের গরুর বেপারী শফিউদ্দীন জানান, তিনি গতবার ২১০টি গরু ঢাকায় নিয়েছিলেন। এবার অন্তত ৩০০ গরু ঢাকার হাটে তুলবেন। ইতোমধ্যে গ্রামে গ্রামে ঘুরে গরু পছন্দ করছেন। সব খামারি পশু পালন করছেন প্রাকৃতিক উপায়ে ও দেশীয় খাবার দিয়ে। ফলে এবার কোনো ঝুঁকি নেই। উপজেলা প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আলাউদ্দীন জানান, ঈদকে সামনে রেখে কোনোক্রমেই যাতে সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু না আসতে পারে সেই লক্ষ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও হাটে স্টরয়েড ও হরমোন ব্যবহারে মোটাতাজাকরণ গরু না তুলতে পারে সেজন্য হাটগুলোতে মোবাইল কোর্টসহ প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাদের একাধিক টিম থাকবে।