খুলনার দাকোপে বিভিন্ন নদ-নদীতে আহরণ করা হচ্ছে গলদা চিংড়ির রেণু পোনা। বিভিন্ন বয়সের লোক নিষিদ্ধ নেটজাল দিয়ে এ পোনা আহরণ করছেন। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে কয়েক লাখ মিটার নেটজাল জব্দ করলেও থেমে নেই রেণু পোনা আহরণ। ফলে চিংড়ির পোনার সঙ্গে দেশীয় প্রজাতির অন্য মাছের পোনাও বিলুপ্ত হচ্ছে। এদিকে প্রশাসনকে ম্যানেজ করার নামে আবার এসব জেলের কাছ থেকে প্রতি গোপনে স্থানীয় একটি চক্র রীতিমতো চাঁদাও তুলছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, উপকূলীয় উপজেলার কাজিবাছা, পশুর, চুনকুড়ি, ঢাকি, কালাবগী ও শিপসাসহ বিভিন্ন নদীতে গলদা চিংড়ির এ রেণু পোনা আহরণ চলছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিষিদ্ধ নেটজাল দিয়ে শিশু নারীসহ বয়ঃবৃদ্ধ লোক প্রকাশ্যে আহরণ করছেন এ পোনা। এতে একটি রেণু পোনা আহরণ করতে গিয়ে প্রায় শতাধিক প্রজাতির মাছের পোনা নিধন হচ্ছে। আর প্রতিদিন এভাবে লাখ লাখ পোনা নিধন হওয়ায় দেশীয় প্রজাতির অনেক মাছ বিলুপ্তির পথে। আহরণ করা এসব রেণু পোনা আবার প্রকাশ্যে প্রশাসনের নাকের ডগায় উপজেলা সদর চালনা বাজারসহ বিভিন্ন আড়তে দেদার বেচাকেনাও হচ্ছে।
এ বিষয়ে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লে. কমান্ডার লুৎফর রহমান বলেন, গত এক মাসে দাকোপ উপজেলার বিভিন্ন এরিয়া থেকে অভিযান চালিয়ে ৪ লাখ ৭১ হাজার মিটার নেটজাল জব্দ করা হয়েছে। যা পরে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সেলিম সুলতান জানান, নদীতে নিষিদ্ধ নেটজাল দিয়ে কোনো প্রকার মাছ ধরা যাবে না। তাই কম্বিং অভিযানে ৩৮টি মোবাইল কোর্ট ও অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এতে ২ লাখ ৫০ হাজার মিটার নেটজাল, ৩৯টি বেহুন্দিজাল ও ৮৭টি অন্য অবৈধ জাল জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিপুল পরিমাণ মাছের পোনা জব্দের পর নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে।
Copyright JaiJaiDin ©2022
Design and developed by Orangebd