বরিশালের হিজলা উপজেলার সরকারের দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ী শতভাগ শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায় অনেক বিদ্যালয়ে জড়াজীর্ণ ভবন। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নেই যাতায়াতের রাস্তা।
এমনই একটি বিদ্যালয় উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নের ৮২নং দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তা ও বিদ্যালয়ের সামনের মাঠ নিচু থাকায় বর্ষা মৌসুমে জমে থাকে পানি, এতে অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসতে পারে না। আবার অনেকে লেখাপড়া থেকে ঝরে পড়ে। বিদ্যালয়ে আসার একমাত্র রাস্তা ও মাঠ অতিক্রম করতে হচ্ছে বাঁশের সাঁকো দিয়ে। এতে বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
প্রতিদিনই সংবাদ আসে দুর্ঘটনার আবার অনেক শিক্ষার্থীর বই খাতা কাঁদাযুক্ত পানিতে পড়ে নষ্ট হয়ে যায়।
ওই বিদ্যালয়ের একজন ছাত্র অভিভাবক জানান, যাতায়াতের ব্যবস্থা না থাকায় বছরে তিন থেকে চার মাস শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত থাকছে। স্থানীয়রা বলছেন ঝরে পড়া শিক্ষার্থী স্কুলগামী ও শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধির জন্য দ্রম্নত রাস্তা নির্মাণ এবং বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ভরাট করা প্রয়োজন।
বিদ্যালয়ের জমিদাতা হারুন চৌকিদার জানান, বর্ষাকাল আসলেই শিশুরা স্কুলে আসতে পারে না, যাওয়ার রাস্তা ভাঙা ও মাঠে জমে থাকে হাঁটু পরিমাণ পানি, এতে অনেক সময় শিক্ষার্থীরা বই-খাতাসহ ভিজে যায়, মহিলাদের তো কাপড় পরিবর্তন করে আসতে হয়। এজন্য চেয়ারম্যান মেম্বরদের কাছে অনেকবার বলেও কোনো উপকার হচ্ছে না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম জানান, সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও জনপ্রতিনিধিদের বারবার বলা সত্তেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিনই কমে আসছে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা।
ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন জানান, বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছেন।
শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল গাফফার বলেন, বিষয়টি জানি এ বিষয়ে উপর মহলকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বকুলচন্দ্র কবিরাজ বলেন, সরেজমিন গিয়ে এ বিষয়টি সমাধান করা হবে।
Copyright JaiJaiDin ©2022
Design and developed by Orangebd