চলাচলের রাস্তা ছাড়াই নদীর ওপর কোটি টাকার ব্রিজ

লালপুর থেকে শোলাকান্দি প্রস্তাবিত সড়ক

প্রকাশ | ০৯ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

ম তিতাস (কুমিলস্না) প্রতিনিধি
কুমিলস্নার তিতাসের জিয়ারকান্দি-লালপুর ভায়া শোলাকান্দি সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হলেও এ সড়কের এক প্রান্তে তিতাস নদীতে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে কোটি টাকার ব্রিজ। ফলে ব্রিজটি জনগণের কোনো কাজে আসছে না। জানা যায়, উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের লালপুর, করিমখালী ও শাহপুর গ্রামের অধিকাংশ লোকজন এলাকার বৃহত্তম গৌরীপুর বাজারে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত। ওই এলাকার লোকজন মূলত গৌরীপুরমুখী। তাই প্রতিদিনই ওই গ্রামগুলোর শতাধিক লোকজন গৌরীপুরে যাতায়াত করে থাকেন। এক্ষেত্রে তাদের লালপুর ও শাহপুর থেকে শিবপুর বাস স্টেশনে এসে গৌরীপুরে যেতে হচ্ছে। আর এ দুই গ্রামের লোকজন যাতে সহজে গৌরীপুরে যাতায়াত করতে পারে সেজন্য গৌরৗপুর-হোমনা সড়ক থেকে শোলাকান্দি থেকে লালপুর তিতাস নদীর পূর্ব পাড় পর্যন্ত একটি নিচু মাটির রাস্তা হয়েছে। ওই রাস্তার মাঝখানে বিগত প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে চকের মধ্যে একটি ছোট কালভার্টও নির্মাণ করা হয়। তবে লালপুর গ্রাম সংলগ্ন তিতাস নদী দিয়ে মানুষ নৌকাযোগে পারাপার হতো। মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে লালপুর অংশে তিতাস নদীর ওপর ৯৪ লাখ ৯ হাজার ৬৬২ টাকা ব্যয়ে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বর্ষার পানি বাড়ায় নিচু রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। লালপুর গ্রামের আব্দুল করিম ও হাজী স্বপন জানান, ব্রিজ হয়েছে। এখন শোলাকান্দি পর্যন্ত রাস্তাটি হলে তাদের টাকা ও সময় দুইটাই সাশ্রয় হবে। মজিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, এ এলাকার জনগণের একমাত্র নির্ভরযোগ্য বাণিজ্যিক কেন্দ্র হলো গৌরীপুর বাজার। এলাকার মানুষের সঙ্গে গৌরীপুরের একটা সম্পর্ক হয়ে গেছে। তাই প্রতিদিন মানুষকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য গৌরীপুর বাজারে যেতে হয়। জিয়ারকান্দি-লালপুর- শোলাকান্দি রাস্তাটি নির্মাণ করা হলে ৬ থেকে ৭ কিলোমিটার রাস্তার ভোগান্তি থেকে মানুষ রক্ষা পাবে এবং টাকার অপচয়ও রোধ হবে। উপজেলা প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক বলেন, সম্প্রতি লালপুর গ্রাম সংলগ্ন তিতাস নদীর ওপর প্রায় ৯৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। দুই পাশে অ্যাপ্রোজের মাটিও ভরাট হয়েছে। তবে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে রাস্তাটি নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হবে।