মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আনোয়ারায় কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে ৩০ লাখ টাকার মাছ মরার অভিযোগ

ম আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
  ১১ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ডিএপি ফার্টিলাইজার লিমিটেডের বিষাক্ত বর্জ্যে ২৫ জন মৎস্যজীবীর প্রায় ৩০ লাখ টাকার মাছ মরে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার সকালে উপজেলার বারশত ইউনিয়নের রাঙ্গাদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের জিএম এডমিন আলমগীর জলিল ও উপজেলা মৎস্য অফিসার রাশিদুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে পানি পরীক্ষা করছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রাঙ্গাদিয়া এলাকায় প্রায় ৭০ একর পিডিবি প্রকল্পে জায়গায় ২৫ জন স্থানীয় মৎস্যজীবীর মাছের ঘেরে শত শত মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এ সময় মৎস্যজীবীরা জানায় ডিএপি সারকারখানার বর্জ্যের পানি ঢুকে গত ৪ দিন ধরেই এভাবে মাছ মরছে। এতে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন নাজিম উদ্দিন, এনামুল হক, মোহাম্মদ আবদুল করিম, মোহাম্মদ কামাল, মোহাম্মদ মুজিব, মোহাম্মদ ফারুক, মোহাম্মদ কাইছার, মোহাম্মদ হাশেম চৌধুরী, মোহাম্মদ মুছা, মিলন সিংহ, চন্দন দাশসহ রয়েছেন আরও ১৩ জন।

ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবী নাজিম উদ্দিন বলেন, বিগত ৫ বছর ধরে একাধিকবার বিষাক্ত পানি ঢুকে মাছ মারা গেলেও তারা কখনো ক্ষতিপূরণ পাননি। আর তাদের মৌখিকভাবে জানানোর পরও কখনো পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। গত এক সপ্তাহ ধরে ৭০ একর প্রজেক্টে ৩০ লাখ টাকার মাছ মরে ভেসে উঠেছে। তারা এর স্থায়ী সমাধান চান।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাশিদুল হক বলেন, মাছ মরার খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং মৎস্য ঘের থেকে পানি ও মৃত মাছ পরীক্ষার জন্য নিয়ে এসেছেন। পরীক্ষা করে এর কারণ জানা যাবে।

এ বিষয়ে ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের জিএম এডমিন আলমগীর জলিল বলেন, প্রজেক্টসহ খামারিদের মাছ মারা যাওয়ার ঘটনাটি শোনার পর তারা সরেজমিন গিয়ে পরিদর্শন করেছেন এবং পানি সংরক্ষণ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। পানিতে কোনো বিষক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে কি কারণে মাছগুলো মারা গেছে তা জানা যায়নি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে