কয়রার চরামুখা গ্রামের ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ

প্রকাশ | ১৮ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

ম কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চরামুখা গ্রামের ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ পাঁচ দিন লড়াই করে ১৭ আগস্ট দুপুরে আটকাতে সক্ষম হয়েছেন এলাকাবাসী। নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ১৩ আগস্ট বেলা ২টার দিকে ১৫০ মিটার এলাকা ভেঙে ১০ টি গ্রাম পস্নাবিত হয়। জানা গেছে, কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধ ১৭ জুলাই ভেঙে গেলে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে রিংবাঁধ দিয়ে পানি আটকায়। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোনো কাজ না করায় বাঁধ ভেঙে পুনরায় এলাকা পস্নাবিত হয়। অবশেষে ভেঙে যাওয়া বাঁধ আটকেছেন এলাকাবাসী। দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল জানান, গত কয়েক দিনের বৃষ্টির ফলে রিংবাঁধ দুর্বল হয়ে পড়ে। যার ফলে জোয়ারের চাপে রিংবাঁধটি ভেঙে যায়। এলাকাবাসী পানি উন্নয়ন বোর্ডের দিকে না তাকিয়ে নিজেদের রক্ষার্থে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে পানি আটকাতে সক্ষম হয়েছে। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন (বোর্ড বিভাগ-২) এর নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ তালুকদার জানান, কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে রিংবাঁধটি দুর্বল হয়ে পড়ে। যে কারণে রিংবাঁধটি ভেঙে যায়। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রাথমিকভাবে রিংবাঁধ দিয়ে পানি আটকানো হয়েছে। এ জন্য বস্তা, বাঁশসহ প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে। পরে মূল ক্লোজারে কাজ করা হবে। কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিমেষ বিশ্বাস জানান, ভাঙন কবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হবে। এ জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম জানান, যখনি মানুষ ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ঠিক তখনি আবার কোনো না কোনো জায়গায় নদী ভাঙন দেখা দেয়। প্রাথমিকভাবে রিংবাঁধ দিয়ে পানি আটকানো হয়েছে। ভাঙনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।