সমন্বয়হীনতা ভেঙে পড়েছে চরাঞ্চলের শিক্ষাব্যবস্থা
প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
ম কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
কাজিপুরের চরাঞ্চলের প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক সংকটের কারণে পাঠপ্রদান চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। এতে করে শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অপরদিকে যমুনার পঞ্চিমপাড়ে (বিল এলাকায়) শিক্ষার্থী সংকটে শিক্ষকগণ অলস সময় পার করছেন। ফলে সমন্বয়হীনতায় পুরো কাজিপুর উপজেলায় হাতেগোনা কয়েকটি বিদ্যালয় বাদে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
কাজিপুর শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, যমুনা নদী দ্বারা পূর্ব-পঞ্চিমে বিভক্ত এ উপজেলায় মোট ২৩৭টি বিদ্যালয় রয়েছে। এর প্রায় অর্ধেক বিদ্যালয়ের অবস্থান চরাঞ্চলে।
গত বুধবার চরের খাঁশরাজ বাড়ি এলাকায় গিয়ে দেখা যায় অধিকাংশ বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট রয়েছে। প্রায় বিদ্যালয়ে শিশুদের বাইরে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে।
শিক্ষকরা জানান, তিনটি ক্লাস, শিক্ষক রয়েছে দুই জন। ফলে বাকি ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীরা ঘোরাঘুরি করছে। স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, চরের বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক যমুনার পঞ্চিম পাড় থেকে যাতায়াতের কারণে দশটা এসে তিনটার মধ্যে বাড়ি ফেরার কারণে মাত্র দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা স্কুলে থাকেন।
বুধবার পৌনে তিনটায় ভাটি মেওয়াখোলা বালিকা বিদ্যালয় এবং একটু পরে খাঁশরাজবাড়ি বালিকা বিদ্যালয়ে গিয়ে কোনো শিক্ষার্থী পাওয়া যায়নি। খাঁশরাজবাড়ি ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি জোমসের আলী জানান, তাদের চরের বিষয়ে উপজেলা কর্তৃপক্ষ দায়সারা অবস্থান নেয়ায় শিশুরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, যমুনা নদী অববাহিকায় এই উপজেলার জন্য মোট ৮ জন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার প্রয়োজন থাকলেও আছে মাত্র তিন জন। এতে করে বিদ্যালয়গুলো দেখভালে অসুবিধা হচ্ছে। বিলে এলাকায় প্রয়োজনের তুলনায় শিক্ষক বেশি এবং চরের বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে জানান বিদ্যালয়গুলো থেকে শিক্ষার্থীদের তালিকা চাওয়া হয়েছে, আসছে জানুয়ারিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এই অবস্থার সমন্বয় করা হবে।