শিশুর লাশ কবর থেকে উঠানোর পর ফের দাফন

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার সুনামপুর গ্রামে পানিতে ডুবে মরে যাওয়া শিশুর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিসেট্রট আমলী আদালতের এক আদেশে সোমবার রাজনগর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুর রহমানের উপস্থিতিতে আদালতের মাধ্যমে সাড়ে ৫ বছর বয়সী সোহান আহমদ ইমাদের লাশ উত্তোলন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন-রাজনগর থানার ওসি (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম, মামলার তদন্তকারী কমর্কতার্ এসআই জিয়াউল ইসলাম ও উত্তরভাগ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ শাহিদুজ্জামান। পরে মঙ্গলবার বিকালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্থান্তর করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুনামপুর গ্রামের হান্নান মিয়া ও শামীমা বেগমের পুত্র ইমাদ প্রতিদিনের মতো খেলার সাথী মরিয়মের সাথে পুকুর পাড়ের নিকটবতীর্ একটি খালের উপর নৌকাতে জাম খেতে খেতে উঠে। তাৎক্ষণিক নৌকায় নড়াচড়া শুরু হলে ওই সাথী লাফ মেরে পাড়ে উঠলেও সে নৌকা থেকে পড়ে ডুবে যায়। পরে স্বজনর খেঁাজাখুঁজি করে ওই খাল থেকে তাকে উদ্ধার করে পাশ্বর্বতীর্ বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওইদিন বিকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানকে অবহিত করে তাকে দাফন করা হয়। এদিকে নিরীহ এক পক্ষকে ফঁাসাতে আদালতে মামলা করেছেন নিহতের মা শামীমা বেগম। বাড়ির নিকট আতœীয়রা জানিয়েছেন, লাশ দাফনের পরদিন শামীমা ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে একই উপজেলার ফতেপুর ইউপির শাহাপুর গ্রামের বাপের বাড়ি চলে যান। সেখানে গিয়ে ভাইদের প্ররোচনায় রাজনগর থানায় মিথ্যা মামলা করতে গেলে থানা ঘটনার সত্যতা না পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সমাধান করতে বলেন। পরবতীের্ত শামীমা গত ১৮/০৬/২০১৮ ইং তারিখে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪ নম্বর আমলি আদালতে আব্দুল মালিকসহ মোট ৫ জনকে আসামি করে একটি পিটিশন মোকদ্দমা দায়ের করেন (মামলা নং-১৭৫)। স্থানীয়রা জানান, শামীমা একজন দাদন ব্যবসায়ী ও টাকা লোভী মহিলা। তার বাপের বাড়ির তরফ থেকে বিবাদীদের ওই সময়ে জানানো হয়েছে মোটা অংকের টাকা দিলে বিষয়টি মামলা পযর্ন্ত গড়াবে না।