বিদ্যালয় ভবন নিমাের্ণ অনিয়ম, জরিমানা

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা
হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামের সাভিয়ানগর ইউনিয়নের হক সাহেব উচ্চবিদ্যালয়ের ৪থর্ তলা নিমাের্ণ অনিয়ম ও দুনীির্ত ধরা পড়েছে। কম রড ও সিমেন্ট দিয়ে তৈরি ইমারতের একটি অংশ ভেঙ্গে ধরা পড়ায় বিক্ষুব্ধ জনগণ দুই রাজমিস্ত্রীকে আটক করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে অষ্টগ্রামের ইউএনও এক রাজমিস্ত্রীকে ১০ দিনের কারাদÐ ও ঠিকাদারের প্রতিনিধির কাছ থেকে ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শিক্ষা বিভাগীয় প্রকৌশলী অধিদপ্তর ফ্যাসিলিটিজ ডিপাটের্মন্টের ৭০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দে বিদ্যালয় ভবনের ৪থর্ তলার কাজ শুরু হয়। ওয়াকর্ অডার্র প্রাপ্ত মেসাসর্ মুসা মারুয়া এ কাজটি পান। গত সোমবার দিবাগত রাতে রাজমিস্ত্রিরা নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করছেন এমন খবর পেয়ে এলাকাবসী ছুটে আছে। উত্তেজিত ৩ শতাধিক জনতা ঘটনাস্থলে এসে ২ রাজমিস্ত্রিকে আটক করে এবং কাজের উপরের একটি বক্স তাদের হাতে ভাঙায় সেখানে ৮টি রডের পরিবতের্ ৪টি রড ও কম সিমেন্টে কাজ করেছে বলে প্রমাণিত হয়। পরে স্কুলের একটি কক্ষে দুই শ্রমিককে সারারাত আটক রাখার পর মঙ্গলবার উপজেলা সদর পযর্ন্ত খবর ছড়িয়ে পড়ে এবং উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ও ইউএনও মো. সালাউদ্দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং দুনীির্ত প্রমাণিত হলে ইউএনও সালাউদ্দিনের ভ্রাম্যমাণ আদালত রাজমিস্ত্রি আহাদ মিয়া (২২) কিশোরগঞ্জকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদÐ ও ঠিকাদার প্রতিনিধি বন্ধন দেবকে ৫শ টাকা জরিমান ও মুছলিকা আদায় করেন। প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান চৌধুরী নেতৃত্বে তদারকি দায়িত্ব থাকলেও ক্ষমতার জোরে অধরাই থেকে যান প্রধান শিক্ষক। এলাকার জাহাঙ্গীর আলম জানান, সোমবার রাতে প্রায় ৩ শতাধিক লোক একত্রে হয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিছিল বের করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পরে তাদের শান্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এলাকার কোনো লোক কথা বলার সাহস পায় না। এ ব্যাপারে ফ্যাসিলিটিজ ডিপাটের্মন্টের সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, আমাদের অনুপস্থিতিতে এ কাজটি হয়েছে বলে এমন হয়েছে।