সাদুল্যাপুরে ভিজিএফের চাল লোপাটের ঘটনায় তদন্ত

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ৮নং ভাতগ্রাম ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত ১৩৯ জন দুস্থ পরিবারের ভিজিএফের চাল কালোবাজারে বিক্রি, ওজনে কম ও আত্মসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কাযার্লয়ে এ তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। প্রাণিসম্পদ কমর্কতার্ ডা. এএসএম সাদেকুর রহমান অভিযোগের তদন্ত করেন। এ সময় ভিজিএফের চালবঞ্চিত ১৩৯ জন সুবিধাভোগী, অভিযোগকারী ও সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে তদন্ত সম্পন্ন হয়। সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমর্কতার্র কাছে সুবিধাভোগী ও অভিযোগকারীরা বিভিন্ন ধরনের সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন। এ ছাড়া একই সঙ্গে তদন্তে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান এটিএম রেজানুল ইসলাম বাবু তদন্ত কমর্কতার্র কাছে তার লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভাতগ্রাম ইউনিয়নে ভিজিএফের কমর্সূচির আওতায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার দুস্থ পরিবারের জন্য চাল বরাদ্দ দেয় সরকার। বরাদ্দ চালের মধ্যে ৫নং ওয়াডের্র তালিকাভুক্ত ১৩৯ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়নি। এসব পরিবারের প্রায় ২৮ বস্তা চাল স্থানীয় ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রির অভিযোগ উঠে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া সুবিধাভোগী প্রত্যেককে ১০ কেজি চাল দেয়ার কথা থাকলেও অনিয়মের মাধ্যমে ৭ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা ত্রাণ ও পপূণার্সন কমর্কতার্ একেএম ইদ্রিস আলীর নিদেের্শ তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। তদন্তের দায়িত্বে থাকা সাদুল্যাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কমর্কতার্ ডা. এএসএম সাদেকুর রহমান জানান, তদন্তে অভিযোগকারী ও সুবিধাভোগীরা তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন। এ ছাড়া অভিযুক্ত চেয়ারম্যানও তার বক্তব্য তুলে ধরেন। তবে তদন্তে তিনি কী পেয়েছেন তা জানাতে চাননি। দ্রæত তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানোর কথা জানান তিনি। এদিকে, তদন্তে আসা একাধিক সুবিধাভোগীর অভিযোগ, তদন্ত কমর্কতার্র কাছে অভিযোগ তুলে না ধরে পক্ষে কথা বলার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দেয় চেয়ারম্যানের লোকজন। এ ছাড়া তদন্তে আসার সময় তাদের বাধাও দেয়া হয়। ঈদের আগে চাল থেকে বঞ্চিত হয়ে বতর্মানে হুমকি-ধামকিতে ক্ষোভ বিরাজ করছে এসব সুবিধাভোগী মানুষের মধ্যে। তবে চেয়ারম্যান এটিএম রেজানুল ইসলাম বাবু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কাউকে হুমকি-ধামকির দেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। সুষ্ঠুভাবে ভিজিএফের চাল বিতরণের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অবগত আছে। তাকে হয়রানি করতে এসব মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে দুস্থদের ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়ম ও আত্মসাতের ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রচার হয় একটি টিভি চ্যানেলে। এ ছাড়া ওই ইউপির ৫নং ওয়াডর্ সদস্য (মেম্বার) ইদ্রিস আলী চেংটু জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।