বাগাতিপাড়ায় ৯ রেলক্রসিং অরক্ষিত, ঝঁুকি নিয়ে চলাচল

প্রকাশ | ১১ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

বাগাতিপাড়া (নাটোর) সংবাদদাতা
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় অরক্ষিত একটি রেল ক্রসিংয়ে এভাবেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে সাধারণ মানুষ Ñযাযাদি
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার মালঞ্চি-নাটোর ও আব্দুলপুর-রাজশাহী রুটের রেলপথে ১০টি ক্রসিংয়ের মধ্যে ৯টিতেই কোনো গেটম্যান নেই। ওইসব রেলগেটে একদিকে যেমন গেটম্যান নেই, তেমনি রাখা হয়নি কোনো নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। ফলে ওইসব উন্মুক্ত রেলগেট দিয়ে যানবাহন এবং লোক চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুঘর্টনার শিকার হচ্ছে। জানা গেছে, উপজেলার সীমানার মধ্যে মালঞ্চি ও লোকমানপুর নামের দুটি রেল স্টেশন রয়েছে। উপজেলার মাঝ বরাবর আব্দুলপুর হতে পাবর্তীপুর অভিমুখে মালঞ্চি রেল স্টেশন এবং আব্দুলপুর হতে রাজশাহী অভিমুখে রয়েছে লোকমানপুর রেল স্টেশন। মালঞ্চি স্টেশনের দুই পাশে রয়েছে ৫টি রেল ক্রসিং। এর মধ্যে মালঞ্চি রেলগেট ছাড়া কোনোটিতেই গেটম্যান নেই। আর লোকমানপুর স্টেশনের দুই পাশের ৫টি রেল ক্রসিংয়ের সবগুলোই অরক্ষিত। রেলগেট-সংলগ্ন এলাকাবাসী জানান, বছরচারেক পূবের্ ইয়াছিনপুর রেলগেট পারাপারের সময় ট্রেনের ধাক্কায় ভুটভুটির দুঘর্টনায় নববধূসহ ৩ জন নিহত হয়। বড় পুকুরিয়া রেলগেটে পারাপারের সময় ট্রেনের ধাক্কায় তিন বছর আগে মৃত আতাহার আলী সরকারের ছেলে রাজ্জাক আলী সরকার নামের একজন নিহত হন। মাড়িয়া নিংটিপাড়া রেলগেটে চিথলিয়া গ্রামের ফজিলা নামের এক গৃহবধূ কাটা পড়েন। তাছাড়াও ওই গেটে প্রায় প্রতিবছরই যানবাহনসহ পথচারীরা দুঘর্টনার শিকার হন। এছাড়াও এসব রেলগেট পারাপারের সময় নসিমন, খাবারের গাড়ি, সাংবাদিকদের মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন যান রেলের ধাক্কা খেয়েও বড় ধরনের প্রাণহানি থেকে রক্ষা পাওয়ার তথ্য মিলেছে। অটোচালক আজিজুর রহমান জানান, রাতে ট্রেনের আলো দেখে ওইসব রেলগেটের ওপর দিয়ে সতকর্তার সঙ্গে চলাচল করতে হয়। কিন্তু দিনে ট্রেন আসছে কিনা তা বোঝা যায় না। ফলে রেলগেটে গাড়ি থামিয়ে দুপাশ দেখে পারাপার হতে হয়। এ বিষয়ে রেল কতৃর্পক্ষের প্রতি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।