ধলাই নদী এখন ফসলের মাঠ

প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

মদন (নেত্রকোনা) সংবাদদাতা
নেত্রকোনার মদনে ধলাই নদী এভাবেই ফসলের মাঠে পরিণত হয়েছে Ñযাযাদি
উজান থেকে নেমে আসা পলি-বালি জমে মরে যাওয়া ধলাই নদী এখন ফসলের মাঠে পরিণত হয়েছে। চৈত্র মাস আসার আগেই নদীতে বঁাধ দিয়ে মাছ ধরায় শুকিয়ে যায় এ নদী। নদীর বুক চিরে চলছে চাষাবাদ। দখল করে চাষাবাদ করছে পাশের জমির লোকজন। দীঘির্দনেও নদীটি খননের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এক সময় এ নদী পথে লঞ্চ, কাগোর্, বড় ট্রলার যাতায়াত করলেও বতর্মান প্রজন্মের কাছে এ গুলো এখন শুধু অতীতের গল্পের হয়ে দঁাড়িছে। ধলাই নদীর একটি শাখা ফতেপুর ফেরিঘাটের মগড়া নদীর মোহনা থেকে শুরু করে রামগোপালপুর, ছত্রকোনা, বিন্নী হয়ে ৪ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে আবার দড়িবিন্নী গ্রামের পাশে মগড়া নদীতে মিশেছে। অপর শাখাটি দেওয়ান পাড়ার সামনে দিয়ে আলমশ্রী, রোদ্রশ্রী, মাখনা, শিবপাশা, বাড়ৈউড়া, তিয়শ্রী, বাস্তা, চন্দ্রতলা, রাজতলা, বঁাশরী হয়ে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে কৈজানি নদীতে মিশেছে। ওই দুটি শাখা নদীতে পলি জমে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় নদীর পাশের জমির মালিকরা দখল করে ধান উৎপাদন করছে। ফলে এ দুটি শাখা নদীর উপকার থেকে জনগণ সম্পূণর্ভাবে বঞ্চিত হচ্ছে। এগুলোর ওপর কতৃর্পক্ষের নজর না দেওয়ায় দিন দিন দখলদারদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। মঙ্গলবার সরজমিনে গেলে, নদীর কোন কোন স্থানে চর, আবার কোথাও কোথাও হঁাটুপানি রয়েছে। নদীর উপরের ভাগে ধানের বীজতলা ও নদীর তলায় ধান রোপণ করার দৃশ্য চোখে পড়ে। মনে হয় নদীর কোনো অস্থিত নেই। নদী খনন করে প্রাকৃতিক সম্পদ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার দাবিতে বেসরকারি সংগঠন জনউদ্যোগ জেলা সদরে সম্প্রতি মানববন্ধন করেছে। এ ছাড়া প্রাকৃতিক বঁাচাও আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কমর্সূচি পালন করে প্রশাসনের কাছে দাবি জানালেও কোনো কাজ হচ্ছে না। এতে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী। আর জনগণ এ নদীর সুফলতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পরিবেশবাদী ও মদন প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোতাহার আলম চৌধুরী জানান, নদীগুলো নাব্যতা হারিয়ে যাওয়ায় মানুষের ব্যয়বার বাড়ছে। নদীর উপকারিতা থেকে লোকজন বঞ্চিত হচ্ছে। তবে নদীগুলো জরুরি ভিত্তিতে খননের জোরদাবি জানান তিনি।