বেলকুচিতে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন

প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা
বেলকুচিতে খেত থেকে সবজি সংগ্রহ করছেন কৃষক Ñযাযাদি
সিরাজগঞ্জের বেলকুচির যমুনা চরের কৃষকরা বতর্মানে কৃষি বিপ্লব ঘটিয়েছে। এক সময়ের দুঃখের কারণ যমুনা নদী এখন চরের বুকে বিভিন্ন ফসল ফলিয়ে অভাব দূর করছেন এখনকার কৃষকরা। শুষ্ক মৌসুম ও শীতকালে নদীতে পানি থাকে না। তলদেশ শুকিয়ে জেগে ওঠে বালুচর। সেই শুষ্কতাকেই হাতের মুঠোয় এনে বালুচরে কুমড়া, লাও, টমেটো, পালং শাক, মুলা, আলু, বেগুন, পিয়াজ, মরিচ, শসা, শিম, করল্লাসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করে সবুজ সমারোহে ভরে তুলছেন কৃষকরা। বেলকুচি উপজেলার যমুনা নদীর তীর জুড়ে শত শত একর বালুর জমিতে সোহাগপুরের চর, বেন্যবাড়ী, ভাঙ্গাবাড়ী, বেলীরচর, মুলকান্দী, বেলকুচির চর, চাপরী, ক্ষিদিরচাপতী, বড়ধুল, ছোট বড়ধুল, দেলুয়ারচর, রতনকান্দীসহ বেলকুচি ইউনিয়ন ও বড়ধুল ইউনিয়নে প্রায় কয়েক কিলোমিটার জুরে বিভিন্ন জায়গায় চরাঞ্চলের পরিবারগুলো বিশাল বালু চরকে কাজে লাগিয়ে অভাব দূর করছেন। বেলকুচি উপজেলা কৃষি অফিসার কল্যাণ প্রসাদ পাল জানান, উপজেলার মোট ৭৬৫ হেক্টর জমিতে সবজির চাষ হচ্ছে। চরাঞ্চলে ৭৫ হেক্টর জমিতে লাউ চাষ হয়েছে এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে এবছর সবজি চাষে কিছুটা বিঘœ ঘটলেও অন্যান্য বছরের তুলনায় ফলন ভালো হয়েছে। বেলকুচি চরের রেজাউল করিম জানান, এবছর সবজির ফলন বেশি হয়েছে। লাউ, ফুলকপি, বঁাধাকপি, টমেটো, শিমসহ বিভিন্ন সবজি বিক্রি করে তারা বেশ লাভবান হবেন বলে আশা করছেন। চাষীরা জানান, বালুচরে ফসল ফলানো যাবে এটা কখনো ভাবিনি বতর্মানে ধানের চাষও হচ্ছে চরাঞ্চলে। সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় এনজিও বিভিন্ন সবজির চারাসহ কৃষি বিষয়ক পরামশর্ পাচ্ছে বলে চরাঞ্চলের মানুষ জানায়। এখানকার খেটে খাওয়া পরিবার বিভিন্ন ফসল চাষ করে অভাব দূর করেছেন। নারীরা তাদের স্বামী, সন্তানকে নিয়ে মাঠে কাজ করে বিভিন্ন ফসল ফলাচ্ছেন,সেই ফসল বিক্রি করে সাফল্য অজর্ন করার পাশাপাশি অভাব মোছন করছেন। এছাড়াও চলতি মৌসুমে বিভিন্ন রবি ফসল চাষ করে চাষিদের মুখে এখন হাসির ঝিলিক।