অবশেষে কাস্টমসের ছাড় পেল মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আনা ধুলো
প্রকাশ | ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
অবশেষে কাস্টমসের ছাড়পত্র পেয়েছে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা ২৭০০ টন গুঁড়া পাথরের মধ্যে ৭৭০ টন ধুলো (ডাস্ট)। গত সোমবার সকাল থেকে কাস্টমসের ছাড় পাওয়া ডাস্টগুলো খালাসের কার্যক্রম শুরু করে স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধির লোকেরা।
দীর্ঘ দুই মাস ১০ দিন ধুলোগুলো আখাউড়া স্থলবন্দরে পড়ে ছিল। ফলে আমদানিকারকদের ২১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা মাশুল গুনতে হয়েছে।
স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৩ নভেম্বর আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো চূর্ণ পাথর ঘোষণা দিয়ে আমদানি করা হয়। কয়েক দফায় মোট ২৭০০ টন চূর্ণ পাথর আমদানি করে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজের জন্য পাথর আমদানি করেছে। এগুলো বন্দর থেকে ছাড়ানোর কাজ পায় আখাউড়া পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলের মালিকানাধীন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজ। চূর্ণ পাথর প্রথমবার আমদানি হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছাড়পত্র দেওয়ার কথা জানায় কাস্টমস।
পরবর্তীতে পরীক্ষা করে জানা যায় মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে পাথরের বদলে ডাস্ট আনা হয়েছে। স্থলবন্দরে আটকে দেওয়া হয় ডাস্টগুলো। এতে প্রতিদিনই বন্দর কর্তৃপক্ষকে মাশুল বাবদ ৩৬ হাজার টাকা দিতে হয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।
এ ব্যাপারে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি মোজাম্মেল হক জানান, 'আমরা যখন দুই মাস ১০ দিন আগে এলসির পুরো চালান ২৭০০ টন গুঁড়া পাথর আমদানি করি, কাস্টমস থেকে জানানো হয় এই বন্দর দিয়ে এ পাথর আমদানির অনুমোদন নেই। এরপর থেকে কস্টমসের নানা জটিলতায় গুঁড়া পাথরগুলো বন্দরে আটকে পরে। পরবর্তীতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে প্রথম চালানের ৭৭০ টন গুঁড়া পাথর খালাসের অনুমোদন দেওয়া হয়। তারপরও আমাদের ১৯৩০ টন গুঁড়া পাথর রয়ে যাবে।'
এ ব্যাপারে আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের উপ-কমিশনার আবু হানিফ মোহাম্মদ আবদুল আহাদ বলেন, চূর্ণ পাথর আমদানির অনুমতি না থাকায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। তবে চার লেন মহাসড়ক প্রকল্পের হওয়ায় এনবিআর বিশেষ ক্ষমতায় শর্তসাপেক্ষে ৭৭০ টনের ছাড়পত্র দিয়েছে। বাকিগুলোর জন্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে এনবিআরে আবেদন করেছে।