নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় সাঁথিয়ায় হাজার বিঘা জমি অনাবাদি

প্রকাশ | ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার সাঁথিয়ায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় কচুরিপানায় ছেঁয়ে যাওয়া বিল -যাযাদি
পাবনার সাঁথিয়ায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় দুটি বিলের প্রায় এক হাজার বিঘা জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে থাকে সারাবছর। অন্যদিকে কচুরিপানায় ছেঁয়ে থাকায় রবিশস্যসহ কোনো ফসলই আবাদ করতে পারছেন না কৃষকরা। এ সমস্যা থেকে উত্তরণে পানি নিষ্কাশনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা। জানা গেছে, উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের গোয়ালবাড়িয়া গ্রামের ভেদাগাড়ির বিল ও গোলাবাড়ি, গঙ্গারামপুর, মিয়াপুর গ্রামের কুমড়া বিলের প্রায় এক হাজার বিঘা জমিতে সারাবছরই পানি ও কচুরিপানায় ভরে থাকে। ফলে বছরের পর বছর অনাবাদি হয়ে থাকে কৃষকের জমি। সরেজমিন বিল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বিলের মধ্যে এখনো অনেক পানি ও কচুরিপানায় ছেঁয়ে আছে। ফলে এ বছরও বীজতলাসহ রবিশস্যর আবাদ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বিল এলাকার কৃষক। দ্রম্নত পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এলাকার কৃষকরা। গোয়ালবাড়ি, মেয়াপুর, গঙ্গারামপুর ও গোলাবাড়ি গ্রামের কৃষক মোতাহার, রজব আলী, জোদ্দার আলী, আব্দুল হাই, আকতার ও সুলতানসহ অনেকেই জানান, দুই বিলের প্রায় এক হাজার বিঘা অনাবাদি জমি পড়ে থাকায় ফসল উৎপাদন করতে না পেরে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অন্যদিকে কৃষকরা নিজের জমি চাষ করতে না পারায় খাদ্য সংকটেও পড়ছেন। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এক ইঞ্চি জায়গাও ফেলে রাখা যাবে না। অথচ এই এলাকার শত শত বিঘা জমির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জমিগুলো অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে। তারা বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জিব কুমার গোস্বামী বলেন, কুমরাবিলের পানি নিষ্কাশনের খালটি পরিত্যক্ত হওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। খালটি সংস্কার করা হলে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। এ জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসতে হবে।