বাড়তি যানবাহনের চাপে বেহাল পটুয়াখালী-মির্জাগঞ্জ সড়ক
প্রকাশ | ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে পটুয়াখালী-মির্জাগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কটি এখন খানাখন্দে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পায়রা সেতুতে ওয়েট স্কেল স্থাপন করায় অতিরিক্ত ওজনের যানবাহনগুলো বিকল্প এই সড়ক ধরে ফেরি পার হয়ে পটুয়াখালী পথে চলাচল করছে। অন্যদিকে লেবুখালী সেতু পার না হয়ে এই সড়কে চলাচল করায় ফেরির ইজারাদাররাও এসব অধিক ওজনের যানবাহন থেকে অবৈধভাবে চার-পাঁচগুণ বেশি ভাড়া আদায় করছে।
ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের পায়রা নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে লেবুখালী-পায়রা সেতু। এ সেতুতে রয়েছে ওয়েট স্কেল। যা পার হয়ে যানবাহনগুলোকে পায়রা সেতুতে উঠতে হয়। আর এতে ৬ চাকার গাড়িতে সর্বোচ্চ ২২ টন পর্যন্ত পণ্য নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আর ১০ চাকার যানবাহনে সর্বোচ্চ ৩০ টন, ১৪ চাকার যানবাহনে ৪০ টন, ১৮ চাকায় ৪৭ টন, ২২ চাকায় ৪৯ টন এবং ২৬ চাকায় ৫২ টন পণ্য নেওয়ার অনুমোদন রয়েছে। নির্ধারিত ওজনের বেশি পণ্য বহন করলে প্রথম এক টনের জন্য ৫ হাজার এবং পরবর্তী টনের জন্য ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হয়। এ কারণে বর্তমানে লেবুখালী সেতুতে না উঠে অতিরিক্ত ওজনের ট্রাকগুলো পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কে লেবুখালী-পায়রা সেতুর আগে বাকেরগঞ্জ থেকে মির্জাগঞ্জ হয়ে পায়রাকুঞ্জ ফেরি পার হচ্ছে। আর এ কারণে মহাসড়কের অধিক ওজনের এই যানবাহন এখন আঞ্চলিক সড়কে বেশি চলাচল করে। এর ফলে এই সড়কটি অধিক ওজনের গাড়ির কারণে এখন খানাখন্দে বেহাল এবং যানবাহন চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে এলাকাবাসী ও এই সড়কে চলাচলকারীরা ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন।
মির্জাগঞ্জ সড়কের নিয়মিত চলাচলকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী জামাল হোসেন বলেন, কিছুদিন আগেও রাস্তাটি ভালো ছিল। তবে গত কয়েক মাস থেকে সন্ধ্যা হতে ভোর রাত পর্যন্ত এই সড়কে ভারী পণ্য নিয়ে ট্রাক চলাচল করায় এমন বেহাল অবস্থা। আর সড়কটি এমন ভাঙাচোরা হলেও সড়ক বিভাগ এটি সংস্কারে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
একই এলাকার বাসিন্দা সাফিয়া খাতুন বলেন, 'ছেলেমেয়েদের এখন স্কুলে নিয়ে যেতে কষ্ট হয়। মাঝেমধ্যেই সড়কের রিকশা, অটোরিকশা উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে। এরপর সড়কে সবসময় ধুলাবালি ওড়ে।' পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এএম আতিক উলস্নাহ জানান, সাম্প্র্রতিক সময় অধিক ওজনের ট্রাক চলাচল করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে ফেরির ইজারাদারদের সতর্ক করেছেন। পাশাপাশি জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভাতেও বিষয়টি জানানো হয়। এরপরও গুরুত্ব বিবেচনায় এক কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে দুইটি প্যাকেজে চার কিলোমিটার এই সড়কটি মেরামত করার জন্য ইতোমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।