বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দীঘিনালায় হঠাৎ বেড়েছে ডায়রিয়া হাসপাতালে স্যালাইন সংকট

দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
  ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। হাসপাতালের বেডে বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে প্রতিদিন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছে এবং অনেক রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের রেকর্ড অনুযায়ী ৯ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছে, এর মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।

স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্সরা বলছেন, হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দৈনিক ৮ থেকে ১০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে, আবার অনেক রোগী সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরছে। বরাদ্দ বেডের তুলনায় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী বেশি হওয়ায় অনেক রোগীকে মেঝেতে বিছানা পেতে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বেড কম থাকায় রোগীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। নার্সরা আরও জানান, বরাদ্দ বেড ও ওষুধের তুলনায় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় স্যালাইন সংকট পড়েছে। তারা খাবারের স্যালাইন ও যাবতীয় ওষুধসহ চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ও স্বজনরা জানান, দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ভর্তি হওয়ার পর প্রয়োজনীয় বেশিরভাগ ওষুধই হাসপাতালের ডাক্তারদের দেওয়া স্স্নিপের মাধ্যমে বাইরের ফার্মেসি থেকে টাকা দিয়ে কিনে আনতে হচ্ছে। স্যালাইনও হাসপাতাল থেকে দেওয়া হচ্ছে না। ঠিকমতো রোগীদের সেবা ডাক্তার ও নার্সরা দিচ্ছেন না। যে কারণে রোগীদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হচ্ছে। নার্সদের আচরণও খুব অসৌজন্যমূলক।

এদিকে স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের ওয়ার্ডগুলো ঘুরে দেখা যায়, যতগুলো রোগীর শরীরে স্যালাইন চলছে তা সবগুলোই বিভিন্ন কোম্পানির, ফার্মেসি থেকে রোগীর স্বজনদের কিনে আনা। সরকারি স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স থেকে রোগীদের দেওয়া হচ্ছে না কোনো স্যালাইন। তাছাড়া জরুরি প্রয়োজনীয় ওষুধও বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের আশপাশের ফার্মেসিগুলোতেও স্যালাইনের সংকট পড়েছে। কয়েকটি ফার্মেসিতে কথা বলে জানা যায়, অর্ডার করেও জানুয়ারির ১৫ তারিখের পর থেকে ডায়রিয়া ও কলেরাজনিত রোগের স্যালাইনগুলো কোম্পানি থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে নতুন করে অর্ডার দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের স্টোর কিপার সোহেল চাকমা জানান, 'কিছুদিন ধরে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে গেছে। বেড ও ওষুধ বরাদ্দের চেয়ে রোগী বেশি হওয়ায় স্যালাইন, ওষুধের কিছুটা সংকট পড়েছে। আমরা চাহিদা পাঠিয়েছি, স্যালাইনসহ যাবতীয় ওষুধ পেলে কিছুটা সংকট কাটবে।'

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের মেডিকেল অফিসার নাজমুন নেছা মিম জানান, হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। এ পর্যন্ত ৯ জন রোগী ভর্তি আছেন। অনেক রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়লেও এখন পর্যন্ত কোনো রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়নি। স্যালাইন সংকটের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাসপাতালে আপাতত কোনো ওষুধ বা স্যালাইন সংকট নেই। সেবাপ্রার্থী রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে