জোয়ার-ভাটায় পাঠগ্রহণ!

প্রকাশ | ১৩ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

দশমিনা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
দক্ষিণ চরশাহজালাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাথীের্দর এভাবেই পানির মধ্য দিয়ে স্কুলে যেতে হয় Ñযাযাদি
জোয়ার-ভাটার ওপর নিভর্র করে পরিচালিত হচ্ছে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার দক্ষিণ চরশাহজালাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির পাঠদান। ফলে শিক্ষাথীর্রা নিয়মিত স্কুলে উপস্থিত হতে পারেছে না। প্রাকৃতিক দুযোর্গ, শিক্ষক-শিক্ষাথীের্দর অনুপস্থিতিতে শিক্ষার মান আশানুরূপ নয়। ফলে চরাঞ্চলে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে যোগাযোগসহ সব সমস্যার সমাধান করা প্রয়োজন বলে স্থানীয়রা মনে করেন। জানা যায়, উপজেলার মূল ভ‚খÐ থেকে সবর্দক্ষিণ চরশাহজালাল নদীবেষ্টিত থাকায় কোনো উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা নেই। চরের মধ্য দিয়ে অসংখ্য খাল প্রবাহিত হওয়ায় ব্রিজ, কালভাটর্ ও কোনো রাস্তাও নিমার্ণ করা হয়নি। চরে বসবাসকারী বাসিন্দাদের নৌকা, ডোঙ্গা ও সঁাতার কেটে চলাচল করাতে হয়। চরের একমাত্র স্কুলটি নদী তীরবতীর্ হওয়ায় শিক্ষাথীের্দর নৌকা কিংবা সঁাতার কেটে স্কুলে যেতে হয়। শুষ্ক মৌসুমে যেতে পারলেও বষার্ মৌসুমে খালে পানি থাকায় অধিকাংশ ছাত্র-শিক্ষক স্কুলে যেতে পারেন না। আবার অনেককে ঝুঁকি নিয়ে কোমর পরিমাণ পানির মধ্যে দিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। ফলে ছাত্রছাত্রীদের জামাকাপড় ও বইপত্র অনেক সময় ভিজে যায়। দুযোর্গপূণর্ আবহাওয়া থাকলে বিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষাথৃীর উপস্থিতি থাকে না বললেই চলে। অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও সীমাহীন কষ্টের মধ্যে পাঠদান করতে হয় বলে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিন জানান। এদিকে বিদ্যালয়টি যোগাযোগ বিছিন্ন দুগর্ম চরে অবস্থিত হওয়ায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কতার্রা তদারকি করতে যায় না বলেও স্থানীয়রা জানান। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কমর্কতার্ মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, জোয়ার-ভাটার ওপর নিভর্র করে স্কুল চলা কথাটি সত্যি হলেও সাধ্যের মধ্যে থেকে শিক্ষার মান উন্নয়ন চেষ্টা অব্যাহত রাখছেন তারা।