সীতাকুÐে তেলের ডিপোতে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই

প্রকাশ | ১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

সবুজ শমার্ শাকিল, সীতাকুÐ
সীতাকুÐে আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের চোখের সামনে প্রায় অধর্শতাধিক কালো তেলের ডিপো বানিয়ে জমজমাট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে কতিপয় ব্যবসায়ী। কিন্তু গত বুধবার ফৌজদারহাটে ভয়াবহ অগ্নিকাÐে তেলের ডিপো পুড়ে যাওয়ার পর উপজেলাজুড়ে গড়ে উঠা অবৈধ এসব কালো তেলের ডিপো নিয়ে আশঙ্কা বেড়েছে জনমনে। কারণ জাহাজ ভাঙা শিল্পের তেল নিয়ে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে তোলা এসব ডিপোর কোনোটিতেই নেই অগ্নি প্রতিরোধ কিংবা নিবার্পক ব্যবস্থা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,দেশের একমাত্র জাহাজ ভাঙা শিল্পকে কেন্দ্র করে সীতাকুÐে অসংখ্য পণ্যের ব্যবসা-বাণিজ্য বিস্তার লাভ করেছে। যার মধ্যে একটি হলো কালো তেল। মূলত জাহাজের জ্বালানি হিসেবে এই তেল ট্যাঙ্কে রাখা থাকে। এই তেল প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে এ থেকে ডিজেল, মবিলসহ নানারকম দাহ্য পদাথর্ পাওয়া যায়। ফলে শিপব্রেকিং ইয়াডর্গুলোতে ভাঙার জন্য আমদানি করা জাহাজের এই তেল কিনে ব্যবসায়ীরা সেই কালো তেলকে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ডিজেল, মবিল প্রভৃতিতে রূপান্তর করে। ফলে এই কালো তেলের চাহিদাও প্রচুর। কিন্তু দাহ্য পদাথের্র এতবড় কমর্যজ্ঞে কোন অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, এসব কালো তেলে ব্যবসায়ীদের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যে লাইসেন্স দেয়া হয় তাতে স্পষ্টতই বেশ কিছু নিয়ম ও নিদের্শনা দেয়া আছে। লোকালয়ে এসব ব্যবসা সম্পূণর্ নিষিদ্ধ। চট্টগ্রাম ফায়ার সাভির্স চট্টগ্রামের বিভাগীয় উপ-সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন জানান, পুরনো জাহাজ ভাঙা শিল্প থেকে পাওয়া বিপুল পরিমাণ তেল বিক্রির উদ্দ্যেশে মজুদ করে ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ডিপোরও অগ্নিনিবার্পন ব্যবস্থা নেই। গত বুধবার ডিপো থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। সব ডিপো ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে পরিচালনা করছে। শীঘ্রই এস সব ডিপোর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। সীতাকুÐ উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন রায় বলেন, স্ক্র্যাপ জাহাজের কালো তেল এই ডিপোগুলোতে এনে রাখা হয়। অথচ ডিপোগুলোর কোন অনুমোদন নেই। পরিবেশ ও ফায়ার সাভিের্সর কোন ছাড়পত্রও নাই তাদের। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এর আগেও অভিযান চালানো হয়েছিল। মোবাইল কোটের্র মাধ্যমে আবারো অভিযান চালিয়ে অবৈধ ডিপোর ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।