বø্যাকবেঙ্গল ছাগলে স্বাবলম্বী চৌগাছার প্রান্তিক চাষিরা

প্রকাশ | ১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

চৌগাছা (যশোর) সংবাদদাতা
যশোরের চৌগাছায় বø্যাকবেঙ্গল জাতের ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছে প্রান্তিক চাষিরা। দৈনন্দিন কৃষিকাজের পাশাপাশি বø্যাকবেঙ্গল জাতের ছাগল পালন করে প্রতিটি পরিবার ২০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বাড়তি আয় করছেন। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কয়েকশ পরিবার বাড়িতে ছাগল পালন করে ভাগ্যের পরিবতর্ন ঘটিয়েছেন। লাভবান হওয়ায় গ্রামের অনেকেই দেশি বø্যাকবেঙ্গল অথবা বিভিন্ন প্রজাতির ছাগল পালনে ঝুঁকছেন। সরেজমিন দেখা যায়, বিভিন্ন পরিবারের পালন করা ছাগলগুলো বাড়ির আঙ্গিনায় চরে বেড়ায়। তাছাড়া স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছেলেমেয়েরাও ছাগল চরানো ও দেখভালের কাজ করে। এসব ছাগলের বাড়তি কোনো খাবারেরও প্রয়োজন হয় না। উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামের নাম বুন্দুলতলা। চৌগাছা-মহেশপুর সড়কের পাশ^র্বতীর্ এই গ্রামটি এখন ছাগল পালনকারী গ্রাম হিসেবে পরিচিত। কয়েক বছর আগে গ্রামের কয়েকজন দরিদ্র কৃষান-কৃষানী শখ করে বাড়িতে কয়েকটি ছাগল পুষতেন। সম্প্রতি গ্রামের কমপক্ষে দশটি পরিবার বাণিজ্যিকভাবে ছাগল পালন শুরু করেছেন। গ্রামের একটি মহল্লায় বতর্মানে তিনশতাধিক দেশি জাতের বø্যাকবেঙ্গল জাতের ছাগল রয়েছে। পরিবারের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি তারা ছাগলের পরিচযার্র কাজ করেন। ফলে পরিবারগুলি খুব কম খরচে বছরে ৫০-৬০ হাজার টাকা বাড়তি রোজগার করতে সক্ষম হচ্ছেন। বতর্মানে গ্রামের মোশারফ হোসেন, মইনুর রহমান, রওনক আলী, হাসান আলী, শফিনুর রহমানসহ অন্তত দশটি পরিবারে কমপক্ষে তিনশতাধিক ছাগল রয়েছে। প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে ছাগলের দল নিয়ে প্রতিবেশীরা সবাই মিলে একসাথে মাঠে যান। মাঠে অনাবাদি জমিতে ছাগল ছেড়ে দিয়ে পাহারা দেন। সকালে ও বিকেলে দিনে দুইবার কমপক্ষে ২-৩ ঘণ্টা করে মাঠে চরানো হয় ছাগলগুলো। সন্ধ্যায় বাড়িতে নেয়ার পরে ছাগলগুলো নিজেরাই ভাগ হয়ে যার যার বাড়িতে চলে যায়। গ্রামের বিশাল এই ছাগলের দলে ৪-৫টি প্রজননক্ষম ছাগল আছে। যাদেরকে স্থানীয় ভাষায় (পঁাঠা) বলে। দলে প্রজননক্ষম ছাগল থাকায় কৃত্রিমভাবেই প্রজনন সম্পন্ন হয় বলে প্রজননের জন্য বাড়তি কোনো সমস্যা হয় না। কৃষকরা জানান, ছাগলগুলি মাঝেমধ্যে মৌসুমি রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হয়। এ সময় তারা গ্রাম্য পশুচিকিৎসকের পরামশর্ নেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য বলেন, এলাকায় অনেকেই ছাগল পালন করে এখন স্বাবলম্বী। তাদেরকে অনুসরণ করে গ্রামের অনেকেই ছাগল পালনে ঝঁুকে পড়ছেন। তিনি বলেন, ছাগল পালনকারী কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও যথাযথভাবে সহযোগিতা প্রদান করলে কৃষকরা আরো উপকৃত হবেন।