বঁাধাকপির দরপতনে লোকসানে কৃষক

ঝিনাইদহে বঁাধাকপির ক্রমাগত দরপতনে লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে কৃষকরা। ছয় উপজেলার বিভিন্ন বাজারে মণপ্রতি বঁাধাকপি ৮০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে কৃষকদের উৎপাদন খরচই উঠছে না। ফলে বিক্রি না করে অনেক কৃষক বঁাধাকপি গরুকে খাওয়াতে বাধ্য হচ্ছে। ঝিনাইদহ জেলা কৃষি অফিসের দেয়া তথ্য মতে, চলতি বছর ঝিনাইদহে বঁাধাকপি ও ফুলকপিসহ মোট সবজি আবাদ হয়েছে ১১ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় ফলনও হয়েছে দারুণ। শুরুর দিকে এবার বঁাধাকপির দামও ভালো ছিল। কিন্তু এখন তা বিক্রি হচ্ছে নামমাত্র দামে। সদর উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের কৃষক নাজির বলেন, এবার তিনি বঁাধাকপি চাষ করেছেন ১২ কাঠা জমিতে। প্রতিটি চারা কিনেছেন এক টাকা দরে। ক্ষেতে চার হাজার কপি হয়েছে। সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরিসহ প্রতিটি কপি উৎপাদনে খরচ হয়েছে ৭-৮ টাকা। কিন্তু এখন খরচের থেকে কম দামে কপি বিক্রি হচ্ছে। সদর উপজেলার পঁাচটিকারী গ্রামের কৃষক জমির উদ্দিন বলেন, দুই সপ্তাহ আগে ১২ হাজার টাকায় ট্রাক ভাড়া করে দুই হাজার কপি ঢাকা নিয়ে বিক্রয় করেন। বিক্রি হয় ২০ হাজার টাকায়। এতে তার কোনো লাভ থাকেনি। বাধ্য হয়ে ক্ষেতের কপি গরুকে খেতে দেন। ঝিনাইদহ জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ জিএম আব্দুর রউফ বলেন, সবজি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হলে কিংবা কৃষিভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুললে কৃষকরা এ রকম লোকসানের হাত থেকে রক্ষা পাবেন।