স্কুলের ছাত্রদের দিয়ে গাছ কেটে জমি দখলের অভিযোগ

প্রকাশ | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

মো. ফয়সাল আহমেদ, কোনাবাড়ী-কাশিমপুর (গাজীপুর)
গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ি থানাধীন জরুন এলাকায় স্কুল শিক্ষার্থীদের দিয়ে অবৈধভাবে গাছ কেটে জমি দখল করছেন বাঘিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কুলের প্রধান শিক্ষক। গত বুধবার সকাল ১০টার দিকে প্রধান শিক্ষক তার স্কুল পড়ুয়া ছাত্র ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দ্বারা বাগানের গাছ কেটে নষ্ট করেন। ঘটনাটি জানতে পেরে কেয়া গ্রম্নপের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে তাদের বাধা দেন। এ সময় তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় ও বাগানের প্রায় এক হাজার গাছ কেটে তারা চলে যায়। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গেলে জানা যায়, ৪০ বছর ধরে কেয়া কসমেটিকসের পরিচালক আব্দুল খালেক পাঠান জমিটি ভোগদখল করে আসছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই স্থানে একটি ইটভাটা নির্মাণ করে ব্যবসা করছিলেন। এলাকায় পরিবেশের কথা চিন্তা করে ভাটা বন্ধ করেন এবং সেখানে নানা ধরনের ফুল ও ফলের বাগান তৈরি করেন। স্কুলের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রহমান এ ব্যাপারে বলেন, 'আমি কিছু জানি না। শুনেছি এই জমি স্কুলের। তাই আমরা বাউন্ডারি নির্মাণ করছি। গাছ স্কুলের ছাত্ররা কেটেছে।' কেয়া কসমেটিকসের ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপক আল মাসুদ কামাল ও প্রতিষ্ঠানের নায়েব আমির উদ্দিন সংবাদকর্মীদের জানান, 'এই জমি আমাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল খালেক পাঠানের কেনা সম্পত্তি। আগেও বাঘিয়া স্কুল কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে এই জমি দখল করতে আসে। তখন আমরা গাজীপুর জেলা জজ ১নং আদালতে মামলা (১৪/১৩) করি। আদালত ২০১৫ সালের ১৫ মার্চ উভয় পক্ষকে নালিশী জমির দখল বিষয়ে স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন, যা মামলা নিষ্পত্তি পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এ আদেশ অমান্য করে বাঘিয়া স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের ১০০০-এর বেশি গাছ কেটে ফেলেছে, যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা।' এ বিষয়ে বাঘিয়া স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম লিটন জানান, 'জায়গাটি স্কুলের, স্কুল কর্তৃপক্ষ যা খুশি তাই করতে পারে। কেয়া গ্রম্নপ স্কুলের জায়গাটি অবৈধভাবে এতদিন দখল করে রেখেছিল। গাছ কাটার দিন আমি ছিলাম না। আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, আজ আছি কাল নেই।'