রাজবাড়ীতে নদীভাঙন প্রতিরোধে বঁাশের বেড়া

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

স্টাফ রিপোটার্র রাজবাড়ী
রাজবাড়ীতে নদীভাঙন রোধে বঁাশের বেড়া প্রকল্প Ñযাযাদি
নদীভাঙন প্রতিরোধে বঁাশের বেড়া প্রকল্পের কাজ চলছে রাজবাড়ীতে। রাজবাড়ী সদর উপজেলার সিলিমপুর গ্রামে পদ্মা পাড়ে এবং বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের গড়াই নদীর পাড়ে চলছে এই প্রকল্পের কাজ। ফরিদপুর নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পরিবতর্ন হবে নদীর গতিপথ, কমবে ভাঙন, বাড়বে ফসলি জমি। এসব কারণে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছে নদী তীরবতীর্ মানুষ। ফরিদপুর নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট সূত্র জানায়, এটি একটি পাইলট প্রকল্প। পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ২৫ ফুট লম্বা বঁাশের ১৩ ফুট মাটির নিচে এবং ১২ ফুট মাটির ওপরে থাকবে। এতে করে নদীর গতিপথ পরিবতর্ন হবে। যে কারণে ভাঙনের সৃষ্টি হবে না। বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের জামসাপুর এলাকায় নদীভাঙনরোধে দেড় কিলোমিটার এলাকায় বঁাশের বেড়া প্রকল্পটিতে ব্যয় ধরা হয়েছে মাত্র ৭৫ লাখ টাকা। স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রতিবছর বষার্ মৌসুমে রাজবাড়ীর পঁাচ উপজেলার শত শত বসতবাড়ি ও ফসলি জমি নদীগভের্ বিলীন হয়ে যায়। ভাঙনরোধে স্বল্প খরচে অল্প সময় বঁাশের বেড়া প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। বালিয়াকান্দির নারুয়া ইউনিয়নের গড়াই নদী-তীরবতীর্ বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম জানান, প্রতিবছরই বন্যার সময় এই এলাকার প্রচুর জমি নদীগভের্ বিলীন হয়। এই প্রকল্পটি সঠিকভাবে এবং দ্রæত সময় সম্পন্ন হলে উপকৃত হবে এলাকাবাসী। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল আলীম জানান, প্রতিবছর নদীভাঙনে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। এই প্রকল্প এলাকায় সুফল বয়ে আনবে বলে আশা রাখি। নারুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম মাস্টার জানান, গড়াই নদীর ভাঙন প্রতিরোধসহ পানিপ্রবাহ গতিরোধ করতে ব্যাম্বো ব্যান্ডেলিং পাইলট প্রকল্পটি ভ‚মিকা রাখবে বলে আশা রাখি। এ ব্যাপারে ফরিদপুর নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম বলেন, এটি একটি পাইলট প্রকল্প। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নদীর নাব্য বৃদ্ধি পাবে ও ভাঙন কমবে। সেই সঙ্গে বঁাধের অপর পাড়ে পলি ও বালিমাটি পড়ে বাড়বে ফসলি জমি। এতে কৃষকরা চাষাবাদ করতে পারবে। আগামী এপ্রিল মাসে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হতে পারে।