চট্টগ্রামকে ভ্রমণপিপাসুদের স্বর্গে পরিণত করতে চাই : মেয়র

প্রকাশ | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
টু্যরিজম খাতের বিকাশের সুযোগকে যথাযথভাবে কাজে লাগালে চট্টগ্রাম অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে বলে মত দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম। সোমবার কানাডার হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলসের (উৎ. খরষষু ঘরপযড়ষষং) সঙ্গে সাক্ষাৎকালে মেয়র এ কথা বলেন। মেয়র বলেন, চট্টগ্রামকে মানুষ ?চিনে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে। প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ মানুষ চট্টগ্রামে ব্যবসায়িক কাজে আসে এবং চলে যায়। তবে চট্টগ্রামের বিনোদন খাত প্রসারিত হলে মানুষ ব্যবসায়িক কাজে এলেও তাদের পরিবার-পরিজনকে নিয়ে আসবে যার মাধ্যমে চট্টগ্রামের অর্থনীতি নতুন গতি পাবে। টু্যরিজম খাতের সম্ভাবনা মাথায় রেখে ওশান এমিউজম্যান্ট পার্কসহ অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন ও বৈচিত্র্য সাধনে নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমি চাই চট্টগ্রাম কেবল বাণিজ্যিক নগরীর পরিচয়ে আবদ্ধ না থেকে ভ্রমণপিপাসুদের স্বর্গে পরিণত হোক। দেশ-বিদেশ থেকে আসা বিনোদনপিপাসুদের কলরবে মুখর হোক চট্টগ্রাম। তিনি বলেন, কানাডা চট্টগ্রামের টু্যরিজম খাতের বিকাশে বিনিয়োগ করতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ভূমি বরাদ্দ দেবে। এ ছাড়া চট্টগ্রামে একটি সব ধরনের সুবিধাসম্পন্ন বৃহদাকার হাসপাতাল নির্মাণের মাধ্যমে কানাডা বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে পারে। এবং চসিক পরিচালিত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে কানাডা।' কানাডার হাইকমিশনার ডক্টর লিলি নিকোলস বলেন, স্বাধীনতার পরপরই যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে বাঁচাতে খাদ্য সহায়তা দেয় কানাডা। বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরে কানাডা সবসময় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে কানাডা সবসময়ই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এসেছে এবং বর্তমানে সাহায্যের ক্ষেত্রগুলোকে আরও প্রসারিত করতে চায়। চট্টগ্রামের মেয়র কানাডার কাছে যে কোনো সুনির্দিষ্ট বিষয়ে সহায়তা চাইলে কানাডা তা বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, 'কানাডা শিক্ষা ক্ষেত্র বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে। কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে চট্টগ্রামকে সমৃদ্ধশালী করতে পারে কানাডা। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ওষুধ শিল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী কানাডার অনেক শিল্পগ্রম্নপ। এ ছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিশ্বসেরা প্রযুক্তি সরবরাহের মাধ্যমে চট্টগ্রাম নগরীকে একটি পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যকর নগরীতে পরিণত করার বিষয়ে অবদান রাখতে পারে কানাডা। কানাডা সৌরবিদু্যৎ বিকাশে সহায়তার মাধ্যমে সবুজ জ্বালানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারে।' সৌজন্য সাক্ষাতে আরও ছিলেন- কানাডা হাইকমিশনের সিনিয়র ট্রেড কমিশনার অ্যান্ড কাউন্সিলর অ্যাঞ্জেলা ডার্ক, ট্রেড কমিশনার কাজী গোলাম ফরহাদ, চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, জনসংযোগ ও প্রটোকল কর্মকর্তা আজিজ আহমদ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি