উলিপুরে ৭ মাস ধরে গ্রাম পুলিশের বেতন-ভাতা বন্ধ
প্রকাশ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ১২০ জন গ্রাম পুলিশ ৭ মাস ধরে বেতন-ভাতা না পেয়ে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। নিয়মিত বেতন-ভাতা না পাওয়ায় অনেকের ছেলেমেয়ের লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বন্ধ রয়েছে অসুস্থ বৃদ্ধ বাবা-মায়ের চিকিৎসা।
ইউএনও কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে মোট ১২০ জন গ্রাম পুলিশ সদস্য রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১২ জন দফাদার ও ১০৮ জন মহলস্নাদার রয়েছেন। দফাদার প্রতি মাসে ৭ হাজার ও মহলস্নাদার ৬ হাজার ৫শ' টাকা ভাতা পান। মোট ভাতার অর্ধেক সরকারিভাবে এবং বাকি অর্ধেক উপজেলা পরিষদের রাজস্ব খাত থেকে দেওয়া হয়। মোট বেতনের অর্ধেকের সরকারি অংশ নিয়মিত পেলেও উপজেলা পরিষদের বাকি অংশের ভাতা দীর্ঘ ৭ মাস থেকে বকেয়া থাকায় গ্রাম পুলিশ সদস্যরা পরিবার নিয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
গুনাইগাছ ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আমরা ইউপির অংশের ভাতা ৭-৮ মাস থেকে পাই না। সংসার চালানো খুবই মুশকিল হয়ে পড়েছে। সামান্য বেতন, তাও নিয়মিত পাই না। ঠিকভাবে বাবা-মায়ের চিকিৎসা করাতে পারছি না, সন্তানদের স্কুলে দিতে পারি না। দিন-রাত তাদের কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। কখনো চেয়ারম্যান ডাকেন, এক সময় মেম্বার ডাকেন, একবার থানায় ডাকে আবার কোনো সময় ইউএনও ডাকেন। সামান্য বেতনটুকু না পেয়ে খুব কষ্টে আছেন।
গ্রাম পুলিশ ইউনিয়নের সভাপতি সচীন চন্দ্র বলেন, সরকারি অংশের ভাতা নিয়মিত পাচ্ছেন। কিন্তু উপজেলা পরিষদের রাজস্ব খাতের অংশ দীর্ঘ ৭ মাস থেকে পাচ্ছেন না। ফলে নিয়মিত ভাতা না পেয়ে পরিবার নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোভন রাংসা বলেন, সরকারি অংশের ভাতা নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে। হাট-বাজার ইজারার টাকা পেলে গ্রাম পুলিশের বকেয়া ভাতা পরিশোধ করা হবে।