কালাইয়ে শ্রেণিকক্ষের অভাবে পাঠদান ব্যাহত

প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

কালাই (জয়পুরহাট) সংবাদদাতা
কালাইয়ের পুর-কালিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কক্ষের অভাবে অফিস কক্ষেই চলছে শিশু শ্রেণির পাঠদান Ñযাযাদি
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার অন্তত ৩০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ এবং ওয়াশ রুমের অভাবে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। ফলে কোনো বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে, কোনোটির বারান্দায়, আবার কোনো বিদ্যালয়ের উঠানে চট বিছিয়েই চলছে পাঠদান। পরিচ্ছন্ন ওয়াশ রুমের অভাবে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয় শিক্ষাথীর্, শিক্ষক ও অভিভাবকদের। অবশ্য শীত এবং বষার্কালে ভুক্তভোগীরা এ ধরনের দুভোের্গ বেশি পড়েন। অভিভাবকসহ ভুক্তভোগীরা দ্রæত এ সমস্যার সমাধান দাবি করেছেন। সরেজমিন পুর-কালিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, কক্ষের অভাবে অফিসেই চলছে শিশু শ্রেণির পাঠদান। স্থান সংকুলান না হওয়ায়, মেঝের উপরে পাশাপাশি গাদাগাদি করে বসেছে কোমলমতি শিক্ষাথীর্রা। ফলে একদিকে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান, অন্যদিকে অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে অভিভাবকদের মধ্যে। শুধু পুর-কালিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ই নয়, একই ধরনের সমস্যায় উপজেলার থুপসারা, সড়াইল, একডালা, মূলগ্রাম, বেগুনগ্রাম, কাথাইল-গোপিনাথপুর, গঙ্গাদাসপুর ও শিব-সমুদ্রসহ অন্তত ৩০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। উপজেলার পুর-কালিতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক ফাতেমা জোহরা জানান, কক্ষের অভাবে অফিসেই শিশুশ্রেণির শিক্ষাথীের্দর পাঠদান করা হয়। পাঠদান চলাকালে পরিদশর্কসহ গুরুত্বপূণর্ ব্যক্তিরা বিদ্যালয়ে এলে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। থুপসারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়াউর হক জানান, শ্রেণিকক্ষের অভাবে তারাও ভুক্তভোগী। তবে পরিচ্ছন্ন ওয়াশ রুমের অভাবে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বিপাকে পড়া শিক্ষাথীর্ ও অভিভাবকদের অভিযোগে অসহায়ত্ব বোধ করি, সন্তোষজনক কোনো উত্তর দিতে পারি না। কালাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমর্কতার্ ইতিয়ারা পারভীন জানান, উদ্ভ‚ত পরিস্থিতিতে শ্রেণিকক্ষের সংকটসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানের জন্য ইতোমধ্যে ঊধ্বর্তন কতৃর্র্পক্ষ বরাবর অন্তত ৩০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, নতুন ঘরের বরাদ্দপ্রাপ্তি সাপেক্ষে, অচিরেই এসব সংকট দূর হবে।