১০ গ্রামবাসীর ভরসা ৬৫০ ফুট লম্বা বঁাশের সঁাকো !

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সরাইলে ছেতরা নদী পারাপারের একমাত্র অবলম্বন বঁাশের সঁাকো Ñযাযাদি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার প্রত্যন্তÍ অঞ্চল বলে পরিচিত অরুয়াইল এবং পাকশিমুল  ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষের প্রতিদিন স্থানীয় ছেতরা নদী পারাপারের একমাত্র অবলম্বন হচ্ছে ৬৫০ ফুট লম্বা একটি বঁাশের সঁাকো। শুষ্ক মৌসুমে এই সঁাকোর ওপর দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও নদীর ওপর কোনো ব্রিজ নিমার্ণ হচ্ছে না। একটি ব্রিজ নিমাের্ণর জন্য এলাকাবাসী দীঘির্দন ধরে দাবি জানিয়ে এলেও তারা কোনো আশার আলো দেখছেন না। তবে সরাইল উপজেলা প্রকৌশলী জানিয়েছেন, প্রকল্প প্রস্তাব উধ্বর্তন কতৃর্পক্ষের কাছে দীঘির্দন আগেই পাঠানো হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের রাজাপুর, কাকুরিয়া, চর-কাকুরিয়া, সিঙ্গাপুর, রানীদিয়া, বানিয়ারটেক, পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর, ষাটবাড়িয়া, হরিপুর, ফতেপুরসহ কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব, কুলিয়ারচর ও বাজিতপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অধর্লক্ষাধিক মানুষ অরুয়াইল বাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এই সাঁকোর ওপর দিয়ে আসা যাওয়া করে। বিশেষ করে এসব গ্রামের সহ¯্রাধিক শিক্ষাথীের্ক প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সাঁকোর ওপর দিয়ে অরুয়াইল আবদুস সাত্তার কলেজ ও অরুয়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতে হয়। আসা-যাওয়া করতে শিক্ষাথীর্রা দুভোর্গ পোহায়। অরুয়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষাথীর্ আশিকুল ইসলাম আদনান, সপ্তম শ্রেণির শিক্ষাথীর্ ইয়ামিন, অষ্টম শ্রেণির শিক্ষাথীর্ আবদুল হাকিম, দশম শ্রেণির হুমায়রা ও নবম শ্রেণির ছাত্রী শ্রাবন্তি জানান, তাদের সবার বাড়ি রানীদিয়া ও বানিয়ারটেক গ্রামে। তারা বলে, এই সঁাকোর ওপর দিয়ে চলতে গিয়ে প্রায়ই পায়ে পেরেক ঢুকে যায়। বৃষ্টির মধ্যে চলতে গিয়ে পা পিচলে যায় আবার অনেক সময় পা তরজার ভেতর ঢুকে যায়। শিক্ষাথীর্রা অবিলম্বে এখানে একটি ব্রিজ নিমাের্ণর দাবি জানান। এলাকাবাসী জানান, এই বঁাশের সঁাকোর ওপর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে থাকেন। তবে এই সাঁকো নিমাের্ণ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের কোন ভূমিকা নেই। রানীদিয়া গ্রামের ১৭টি দরিদ্র পরিবার যৌথভাবে তাদের নিজেদের অথের্ এ সঁাকো নিমার্ণ করেন। বিনিময়ে সঁাকো ব্যবহারে তারা জনপ্রতি ২ টাকা করে টোল আদায় করেন। ৬৫০ ফুট দৈঘর্্য এই সঁাকো নিমাের্ণ প্রথমে সাড়ে তিন লাখ  টাকা ব্যয় হয় বলে দাবি করেন নিমার্তাদের একজন রহমত আলী। তিনি জানান, এলাকাবাসীর সিদ্ধান্তে তারা নিজেদের অথের্ এই সঁাকো নিমার্ণ করেন। এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা প্রকৌশলী ইমদাদুল হক বলেন, বৃহত্তর কুমিল্লা প্রজেক্টে এ ব্যাপারে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।