নন্দীগ্রামে স্ট্রবেরি চাষে আশার আলো
প্রকাশ | ০৪ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
নাম জাব্বির হোসেন, বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের চাকলমা গ্রামের মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে জাব্বির হোসেন। জাব্বির ২০১৫ সালে সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেন। পড়াশোনা শেষ করে চাকরি না পাওয়ায় মনস্থির করেন নিজ জমিতে কৃষি ফসল করার। যোগাযোগ করেন নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসে। কৃষির উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন, এরপর তিনি ঝুঁকে পড়েন কৃষিতে। জাব্বির হোসেন ৪ বিঘা জমিতে ফেস্টিবল জাতের স্ট্রবেরি চাষ করে ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকার স্ট্রবেরি বিক্রি করার স্বপ্ন দেখছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় জাব্বির হোসেন তার স্ট্রবেরি জমিতে ফল সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে। জাব্বির হোসেন জানান, ২০১৫ সালে সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর পাস করি, চাকরির পেছনে ঘুরে ঘুরে চাকরি না পাওয়ায় সিন্ধান্ত গ্রহণ করি কৃষি উদ্যোক্তা হওয়ার। যোগাযোগ করি নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসে। সেখানে কৃষির উপর ট্রেনিং নিয়ে কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী গাজীপুর থেকে ১৮ হাজার ফেস্টিবল জাতের স্ট্রবেরির চারা কিনে বাণিজ্যিকভাবে মালচিং পদ্ধতিতে ৪ বিঘা জমিতে চাষ করি। এখন ফল পাকতে শুরু করেছে। ৬০০ টাকা কেজি দরে স্ট্রবেরি বিক্রি করছি। স্ট্রবেরি তুলে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাইকারি বিক্রি করছি। লাভ আসতে শুরু করেছে। এ পর্যন্ত ৪ বিঘা জমিতে ৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান জাব্বির হোসেন। এখন জাব্বির হোসেনের স্ট্রবেরি ঢাকা ছাড়াও নন্দীগ্রামের বিভিন্ন ফলের দোকানে বিক্রি হচ্ছে। জাব্বির হোসেনের চোখে-মুখে দেখা দিয়েছে স্বপ্ন পূরণের হাতছানি। দুই মাসে ১৮ লাখ টাকার স্ট্রবেরি বিক্রি করা যাবে, এমনইটাই স্বপ্ন দেখছেন জাব্বির হোসেন। চারা বিক্রি এবং স্থানীয় বেকার যুবকদের স্ট্রবেরি চাষের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে জানান জাব্বির হোসেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু জানান, স্ট্রবেরি উচ্চ মূল্যের একটি ফসল, নন্দীগ্রামের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মো. জাব্বির হোসেনের হাত ধরেই স্ট্রবেরি চাষের যাত্রা শুরু হয়েছে। আমরা উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে স্ট্রবেরি চাষে সব সুবিধা এবং পরামর্শ প্রদান করে আসছি। বাজারে ভালো দাম এবং চাহিদা থাকায় স্ট্রবেরি চাষে আরও অনেক নতুন তরুণ কৃষক স্ট্রবেরি চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছে।