কালভার্ট ভেঙে দুর্ভোগ

গুরুদাসপুরে কবরস্থানে লাশ নিয়ে যেতে হয় দুই কি.মি. ঘুরে

প্রকাশ | ১৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের গুরুদাসপুরের নারায়নপুর পূর্বপাড়ায় ভেঙে যাওয়া কালভার্ট -যাযাদি
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের নারায়ণপুর পূর্বপাড়া নামক স্থানে কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় কৃষক ও এলাকাবাসীর। কালভার্টটি ভেঙ্গে যাওয়াতে রাতে মানুষ চলাচলের সময় কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এছাড়াও গ্রামের কেউ মারা গেলে কবরস্থানে নিয়ে যেতে হয় ২ কি.মি ঘুরে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করার ফলে কালভার্টটি যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নারায়ণপুর পূর্বপাড়া গ্রামের ভাঙা কালভার্টটির আনুমানিক ১০০ ফিট পেছনেই অবস্থিত বিশাল ফসলি মাঠ। যেখানে কয়েক গ্রামের মানুষ বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করেন। এছাড়াও রয়েছে কবরস্থান, ঈদগাহ ময়দান ও একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসা। তিনটি প্রতিষ্ঠান ও কৃষকদের ফসল ঘরে তোলার জন্য রয়েছে মাত্র একটি রাস্তা। দীর্ঘদিন রাস্তার মাঝখানে নির্মিত কালভার্টটি ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে দুর্ভোগে রয়েছে গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। স্থানীয় কৃষক ফরহাদ হোসেন জানান, 'এই কালভার্টটি যতবার নির্মিত হয়েছে তার কিছুদিন পরপরই ভেঙ্গে গেছে। কারণ নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়েছে। নতুন রডের পরিবর্তে পুরাতন রড ও সিমেন্ট বালুর ব্যবহার নামে মাত্র করার কারণে বার বার কালভার্টটি ভেঙে পড়ে যায়। আমাদের ফসল ঘরে তুলতে হয় এই রাস্তা দিয়ে। তাছাড়াও মৃত ব্যক্তির লাশ নিয়ে যেতে হয় ২ কি.মি ঘুরে। অতি দ্রম্নত কালভার্টটি সংস্কার না করলে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়বে এলাকাবাসী।' স্থানীয় নারী শারমিন বেগম অভিযোগ করে বলেন, 'এই কালভার্টটির কাজ উন্নতমানের সামগ্রী দিয়ে করলে বার বার ভেঙ্গে যেত না। দীর্ঘদিন যাবৎ কালভার্টটি ভেঙ্গে পরে থাকলেও দেখার কেউ নেই। এই গ্রামের অনেক ছেলে হাফেজিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। রাতে বাড়িতে খাবার খেতে আসার পথে অনেক ছেলে পগে গিয়ে আহত হয়েছে। কিছুদিন আগে মোটর সাইকেল চলাচল করতে পারলেও এখন মানুষও এই কালভার্টটি দিয়ে পার হতে পারে না। তাই অতি দ্রম্নত এই কালভার্টটি সংস্কার করা প্রয়োজন।' স্থানীয় ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলতাব হোসেন বলেন, মিস্ত্রির দোষে কালভার্টটির আজ এই দশা। বিয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদের ১% প্রকল্প থেকে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কালভার্টটি নির্মাণের সময় অনেক নির্মাণ সামগ্রী বেঁচে যায়। নির্মাণ সামগ্রীর সঠিক ব্যবহার করতে পারেনি নির্মাণ মিস্ত্রি। পরবর্তীতে ভালো মিস্ত্রি দিয়ে কাজ করা হবে। বিয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সুজা জানান, 'কালভার্টটির এমন দুরবস্থার কথা জানা ছিল না। শিগগিরই সরজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।