গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন

নানা দাবিতে তিন জেলায় বিক্ষোভ মিছিল

প্রকাশ | ১৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
টাঙ্গাইলে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন -যাযাদি
গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি নিয়ে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ ছাড়া বগুড়ার শেরপুর, বাগেরহাটের মোলস্নাহাট ও নড়াইলের লোহাগড়ায় নানা দাবি ও প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আঞ্চলিক স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধিদের পাঠানো বিস্তারিত খবর- স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল জানিয়েছেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দেশে পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মম গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সামনে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ '৭১-এর জেলা কমিটি ও মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ পরিষদের ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধন চলাকালে পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুছ আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলীমউদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, অধ্যাপক এএম রাজ্জাক, নাঈম উদ্দিন প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ পরিষদের তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মুঈদ হাসান তড়িৎ। এসময় সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ '৭১ টাঙ্গাইল জেলা কমিটি ও মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ পরিষদের নেতাকর্মী ছিলেন। মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা বলেন, মহান স্বাধীনতার '৫২ বছর পর হলেও বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জাতিসংঘকে দিতে হবে। তারা চিহ্নিত ১৯৫ পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর বিচার অবিলম্বে শুরু করা ও পাঠ্য বইয়ে গণহত্যার ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান। শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি জানান, বগুড়ার শেরপুরে ফ্লাইওভার ও আন্ডারপাস নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়েছে। শনিবার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের শেরপুর শহরের ধুনটমোড় থেকে হাজীপুর পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকায় ফ্লাইওভার নির্মাণের দাবিতে উপজেলা স্বার্থ রক্ষা পরিষদের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। উপজেলা স্বার্থরক্ষা পরিষদের সভাপতি কেএম মাহবুবার রহমান হারেজের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র জানে আলম খোকা, ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম শিরু, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হিরু, জেলা বাস-মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আরিফুর রহমান মিলন, সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, পৌর কাউন্সিলর ফিরোজ আহম্মেদ জুয়েল, ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম আরফান, বিএইচএম কামরুজ্জামান রাফু, নুরুল ইসলাম নুরু, মোস্তাফিজুর রহমান নিলু, আব্দুল ওয়াহাব জোয়ার্দ্দার প্রমুখ। জনগুরুত্বপূর্ণ ওই দাবি আদায়ে দল-মত-নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে কঠোর কর্মসূচি নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা। মোলস্নাহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি জানান, বাগেরহাটের মোলস্নাহাটে গাংনী মাতারচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মনির শেখকে চোর সন্দেহে হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে সীমাহীন নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ-মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার নগরকান্দি সপ্তপলস্নী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এলাকাবাসী ও মাতারচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের আয়োজনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে মনির শেখকে নির্মমভাবে নির্যাতনের বিচারের দাবি জানিয়ে বক্তব্যদেন মাতারচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি উচমান খাকী, চরদারিয়ারা আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি শামীম শেখ, মনিরের বড়ভাই মামলার বাদী জাহিদুল শেখ। বক্তারা বলেন, নিরাপরাধী মনির শেখকে চোর অপবাদে হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতনকারীদের দ্রম্নত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এর আগে দিনমজুর মনির শেখকে ছাগল চোর অপবাদ দিয়ে উপজেলার ঘোষগাতী বাজারে গত শনিবার অমানবিক নির্যাতনের এ ঘটনা ঘটে। লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি জানান, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মধ্য দিয়ে শীর্ণকায় প্রবাহিত নবগঙ্গা নদী খনন নিয়ে বৈধ জমির মালিকরা ক্ষতিপূরণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে মিছিল, মিটিং, সভা-সমাবেশ ও মানববন্ধনসহ আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার স্থানীয় দীঘলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ চত্বরে নবগঙ্গা নদী খননের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে এক বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নবগঙ্গা কৃষক-শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ডা. সাদেকুর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি ডাবলু মোল্যা, সাংগঠনিক সম্পাদক তুহিন শেখ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান মোল্যা, প্রচার সম্পাদক শাহিদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মুকুন্দ দাস, মহিলা সম্পাদক মুন্না বেগম, উপদেষ্টা আব্দুল হান্নান খান প্রমুখ।