দেশীয় মুরগি পালন করে সফল উখিয়ার নারীরা

প্রকাশ | ১৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজারের উখিয়ায় দেশীয় মুরগী পালন করে দারিদ্র্যবিমোচনে সফল হয়েছেন সাজেদা বেগম। স্বাবলম্বী হয়ে পুরো পরিবারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন। শুধু সাজেদা বেগম নন। 'মুক্তি কক্সবাজার' নামক এনজিও সংস্থার সহযোগিতায় প্রশিক্ষণ নিয়ে ওই সংস্থার দেওয়া দেশি মুরগি পালন করে উপজেলার ১ হাজার ২৫৬টি পরিবার স্বাবলম্বী হয়েছে। উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বটতলী গ্রামের মৃত নূর আহমদের স্ত্রী সাজেদা বেগম জানান, স্বামীর অকাল মৃতু্যতে পাঁচ ছেলেমেয়ে নিয়ে সংসারে অভাব অনটন শুরু হয়। এনজিও মুক্তি কক্সবাজারের সহযোগিতায় প্রশিক্ষণ ও তাদের দেওয়া দেশীয় মুরগি পালন করে এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন। বর্তমানে তার ৫০টির মতো মোরগ-মুরগি রয়েছে। বাজারে বিক্রি করে আয়কৃত অর্থ দিয়ে সবজি ও ধানচাষ করে অভাব অনটন দূর করেছেন। আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে আসায় ছেলেমেয়েদেরও লেখাপড়া করাতে পারছেন। একই এলাকার মৃত আব্দুল হালিমের স্ত্রী জারিয়া খাতুন বলেন, দেশীয় মুরগি পালন করে স্বাবলম্বী হয়ে গবাদি পশু পালন শুরু করেছেন। শুধু তাই নয় এভাবে রোকেয়া বেগম সাবেকুন্নাহারসহ অনেকে জানান, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করে দেশীয় মুরগি পালন করে দারিদ্র্যবিমোচনে সফলতা পেয়েছেন। তাদের পরিবারে হাসি ফুটেছে। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার সুযোগ হয়েছে। এনজিও সংস্থা মুক্তি কক্সবাজারের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ ওসমান গণি জানান, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের অর্থায়নে আইপিসিওএসও কর্মসূচির আওতায় রোহিঙ্গা অধু্যষিত ক্ষতিগ্রস্ত অতি দরিদ্র পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে এ প্রোগ্রাম শুরু করে। এ পর্যন্ত রাজাপালং ও পালংখালী ইউনিয়নের ১ হাজার ২৫৬ পরিবারকে উপকারভোগী হিসেবে নির্বাচিত করে দেশীয় মুরগি দিয়েছেন। প্রতিটি পরিবারকে ১৬টি মুরগি ও চারটি মোরগ দেওয়ার পাশাপাশি দুইতলা বিশিষ্ট মুরগি পালনের ঘর, খাবারের পাত্র ও ২০ কেজি মুরগির খাবার বিতরণ করা হয়েছে।