রাস্তা পুনর্নির্মাণের দাবি ও অনিয়মের প্রতিবাদে দুই জেলায় মানববন্ধন

প্রকাশ | ২৩ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ড্রাম ট্রাক চলাচল বন্ধ ও রাস্তা পুনর্নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ব্যবসায়ীরা। বুধবার উপজেলার সাঁইতাড়া ইউনিয়নের চড়কডাঙ্গা বাজারে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এই মানববন্ধনে পূর্ব সাঁইতাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, পূর্ব সাঁইতাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেন স্কুল, পূর্ব সাঁইতাড়া হাফেজিয়া ইয়াতিমখানা ও সুব্রত খাজাঞ্চী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্থানীয় গ্রামবাসী, ব্যবসায়ীসহ তিন সহস্রাধিক এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে কবি নির্মল সরকারের সভাপতিত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সাহাবুল্যাহ সরকার, ইউপি সদস্য মো. আব্দুলস্নাহ, ব্যবসায়ী ইয়াকুব আলী, সাইদুল হক, রাজিব সরকার, শিক্ষার্থী আয়শা মনি খুশি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০০৪ সালে নির্মিত পাকা রাস্তা দিয়ে অবৈধ ভারী ড্রাম ট্রাকের মাধ্যমে কয়েক বছর যাবত কাঁকড়া নদীর ফিরিঙ্গীঘাট থেকে বালু উত্তোলন করে পরিবহণের ফলে আইয়ুব সুড়ির মোড় পর্যন্ত প্রায় ৪ কি. মি. পাকা সড়ক ও গ্রামীণ রাস্তাঘাট সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। বক্তারা দ্রম্নত রাস্তাটি পুনর্নির্মাণের দাবি জানান। এদিকে তিতাস (কুমিলস্না) প্রতিনিধি জানান, কুমিলস্নার তিতাসে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত শুনানিতে এসে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ও সহকারী শিক্ষকরা। বুধবার উপজেলা পরিষদের মূল ফটকের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায়, তিতাস উপজেলা শিক্ষা অফিসার লায়লা পারভীন বানুর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে অভিযোগ করেন- উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মরত প্রধান ও সহকারী শিক্ষকরা। অভিযোগের তদন্ত শুনানি বুধবার উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন- প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গবেষণা কর্মকর্তা ইয়াকুব আলী মিঞা। এ সময় প্রায় ৭৯ জন শিক্ষক তাদের বক্তব্য লিখিত আকারে জমা দেন। এ দিকে, সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষক উপজেলা পরিষদের চত্বরের মূল ফটক হয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বদলি ও শাস্তি দাবি করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন- প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে সাখাওয়াত হোসেন, আক্তার হোসেন, মাহবুবুল হক সরকার, কামাল হোসেন, সহকারী শিক্ষিকা লুবনা মরিয়ম জাহান ও মোয়াজ্জেম হোসেন। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার লায়লা পারভিন বানু বলেন, নির্দিষ্ট সময় বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের উপস্থিতি, যথাযথভাবে পাঠ্যদান প্রদান, বিভিন্ন বরাদ্দকৃত টাকার শতভাগ বাস্তবায়নসহ শিক্ষকদের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে কথা বলায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে।