লক্ষ্ণীপুরের রায়পুরে দুইশ' পিস ইয়াবা রাখার অপরাধে এক যুবককে ৫ বছরের করাদন্ড দিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে, রংপুর অঞ্চলের গাইবান্ধায় অবৈধ সেমাই উৎপাদন করায় একটি প্রতিষ্ঠানকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রতিনিধিদের পাঠানো বিস্তারিত খবর-
লক্ষ্ণীপুর প্রতিনিধি জানান, লক্ষ্ণীপুরের রায়পুরে ২০০ পিস ট্যাবলেট রাখার অপরাধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ইসমাইল হোসেন লিমন (২৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তার ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়।
সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। রায়ের সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামি ইসমাইল হোসেন লিমন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। লিমন জেলার রায়পুর উপজেলার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ কেরোয়া গ্রামের জাকির হোসেন লিটনের ছেলে। জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ২১ মে রায়পুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জামশেদ আহমেদ উপজেলার মধ্য চরপাতা গ্রামের সিংহের পোল এলাকায় অভিযান চালিয়ে লিমনকে আটক করে। এ সময় তার কাছে ২০০ ইয়াবা জব্দ করা হয়। পরে জামশেদ আহমেদ বাদী হয়ে ওই রাতে লিমনের বিরুদ্ধে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।
রংপুর প্রতিনিধি জানান, রংপুর অঞ্চলের গাইবান্ধায় অবৈধভাবে লাচ্ছা সেমাই উৎপাদন করে বিক্রির অভিযোগে সিয়াম ফুডস প্রডাক্টস নামে একটি সেমাই কারখানার বিরুদ্ধে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার বিএসটিআই রংপুর বিভাগীয় উপ-পরিচালক (মেট্রোলজি) মফিজ উদ্দিন আহমাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিএসটিআই সনদ গ্রহণ না করে সেমাই উৎপাদন ও বিক্রির অভিযোগে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কাঞ্চিপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে সেমাই কারখানার বিরুদ্ধে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় কারখানা বন্ধ রেখে এক সপ্তাহের মধ্যে বিএসটিআই সনদ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন গাইবান্ধার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল মিয়া। তাকে সহযোগিতা করেন রংপুর বিভাগীয় বিএসটিআই ফিল্ড অফিসার প্রসিকিউটর দেলোয়ার হোসেন, পরিদর্শক (মেট্রোলজি) হাফিজুর রহমান ও ফিল্ড অফিসার (সিএম) খন্দকার মো. জামিনুর রহমান।