ঝিনাইদহে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করে বিশেষ নামাজ আদায় করছেন মুসলিস্নরা -যাযাদি
তীব্র গরমে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। অনাবৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে ফসল। তাই বৃষ্টির জন্য পাবনা ও ঝিনাইদহে বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন মুসলিস্নরা। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
পাবনা প্রতিনিধি জানান, অতি তীব্র দাবদাহে পুড়ছে পাবনাসহ গোটা বাংলাদেশ। সোমবার পাবনায় স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মহান আলস্নাহ তায়ালার কাছে বৃষ্টি চেয়ে সালাতুল ইস্তেসকার নামাজ আদায় ও মোনাজাত করেছেন পাবনাবাসী।
পাবনার যুবসমাজের আয়োজনে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে এই নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি ও প্রচন্ড খরা থেকে রেহাই পেতে মহান রবের কাছে বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে। নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন- জামেয়া আশরাফিয়া পাবনার শায়খুল হাদিস হযরত মাওলানা হারুনুর রশিদ।
নামাজ ও দোয়ায় ছাত্র, যুবকসহ কয়েক শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করেন। তাওবাতুন নসুহার (একনিষ্ঠ তাওবা) মাধ্যমে আলস্নাহর কাছে রহমতের বৃষ্টি কামনা করে অতিরিক্ত ১২ তাকবিরের মাধ্যমে ২ রাকায়াত সুন্নত নামাজ আদায় করার মাধ্যমে আলস্নাহর কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করা হয়।
নামাজপূর্বে সংক্ষিপ্ত বয়ানে হারুনুর রশিদ বলেন, পৃথিবীর মাটি যখন শুকিয়ে যায় বা অনাবৃষ্টি ও খরা দেখা দেয় এবং কূপ ও ঝর্নার পানি কমে যায় অথবা নদী শুকিয়ে যায় তখন সালাতুল ইস্তেসকার নামাজ আদায় করা হয়। এই নামাজ ঈদের নামাজের সময়ের মতোই। মসজিদে নয় বরং খোলা মাঠে জামায়াতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এই নামাজে কোনো আজান বা ইকামত নেই।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, ঝিনাইদহে বৃষ্টির জন্য আলস্নাহর কাছে প্রার্থনা করে ২ রাকাত বিশেষ নামাজ সালাতুল ইস্তিসকা আদায় করেছেন মুসলিস্নরা। মঙ্গলবার সকালে শহরের ওয়াজের আলী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জেলা ইমাম পরিষদ এই নামাজের আয়োজন করে। নামাজ উপলক্ষে সকাল থেকেই মাঠে উপস্থিত হতে থাকেন মুসলিস্নরা মানুষ। নামাজ শেষে দুই হাত তুলে উপস্থিত সবাই মহান সৃষ্টিকর্তা আলস্নাহর কাছে প্রার্থনা করেন।
নামায শেষে মুসলিস্নরা বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে ঝিনাইদহসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি নেই। তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ। ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। মানুষসহ প্রাণীকুল হাঁসফাঁস করছে। আলস্নাহর কাছে বৃষ্টির মাধ্যমে এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ আমাদের চাওয়া।'
এদিকে নামাজ শেষে ঝিনাইদহ ইমাম পরিষদের সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, 'যখন আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ হয়ে যেত তখন নবী করিম (স.) সাহাবা একরামদের নিয়ে যে সালাত আদায় করতেন. তাকে সালাতুল ইস্তিসকা বলে। ইস্তিসকা মানেই হল বৃষ্টি প্রার্থনা করে আলস্নাহর কাছে দোয়া করা। তাই আমরাও বৃষ্টির জন্য আজ ইস্তিসকা নামাজ আদায় করলাম।'