আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘষের্ তিন জেলায় ৪ জন নিহত

প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
আদিপত্য বিস্তার নিয়ে মৌলভীবাজার, মাগুরা ও হবিগঞ্জে হামলা-সংঘষের্র ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ জন নিহত এবং অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর: মৌলভীবাজার : সদর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘষের্ দুইজন নিহত ও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার সকালে উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের লামুয়া ও পূবর্ খলিল পুর গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘষের্র এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন পূবর্ খলিলপুর গ্রামের মৃত. মোবারক আলীর ছেলে শফিকুর রহমান (২৫) ও লামুয়া গ্রামের মৃত ওয়ারিশ মিয়ার ছেলে আব্দুল মালিক (৫০)। সংঘষের্র পর পুলিশ চারজনকে আটক করেছে। মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার এসআই গিয়াস জানান, হাওরের জলমহাল, ফিসারি, রাস্তাঘাট ও গ্রামীণ আধিপত্য বিস্তার নিয়ে লামুয়া ও পূবর্ খলিল পুর গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে দীঘির্দন ধরেই বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে শুক্রবার রাতেও উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পুনরায় শনিবার সংঘষের্ লিপ্ত হলে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে লামুয়া গ্রামের শফিকুর রহমান ও পূবর্ খলিলপুর গ্রামের আব্দুল মালিক নিহত হন। মাগুরা : সদর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘষের্ একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে অন্তত পঁাচজন। শনিবার সকালে উপজেলা ধলহরা চঁাদপুর গ্রামের মাতব্বর ইমান মেম্বার ও ফুলমিয়ার সমথর্কদের মধ্যে সংঘষের্র এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইকলাস মোল্লা (৪৫) ইমান মেম্বারের সমথর্ক। আহতদের মধ্যে দুইজনকে মাগুরা সদর হাসপাতালে হাসপাতালে ভতির্ করা হয়েছে। বলে মাগুরা সদর থানার এসআই মিরাজ হোসেন জানান, গ্রাম্য মাতব্বর ইমান মেম্বার ও ফুলমিয়ার সমথর্কদের মধ্যে দীঘির্দন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। বিরোধের সূত্র ধরে সকালে ফুলমিয়ার সমথর্ক হাবিলের সঙ্গে ইমান মেম্বারের সমথর্ক ইকলাসের কথাকাটাটি হয়। এরপর দুইপক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘষের্ জড়িয়ে পড়ে। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় পাল্টা হামলায় ইকলাস মোল্লাসহ ছয়জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে গুরুতর জখম জিন্নাহ, আলী আহসান ও ইকলাসকে মাগুরা সদর হাসপাতালে আনা হলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক ইকলাসকে মৃত ঘোষণা করেন। হবিগঞ্জ : সদর উপজেলার সুলতানশী সাহেব বাড়ি মসজিদের ইমাম নিয়োগ দেয়াকে কেন্দ্র করে সংঘষের্ বাদশা মিয়া (৬০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। নিহত বাদশা মিয়া ওই গ্রামের মৃত সুন্দর আলী মিয়ার ছেলে। শুক্রবার রাতে এ সংঘষের্র ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, সুলতানশী গ্রামের সাহেব বাড়ি মসজিদের ইমাম নিয়োগ দেয়াকে কেন্দ্র করে এলাকার দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে। এ সময় বাদশা মিয়া সাক্ষী দেয়। এ নিয়ে প্রতিপক্ষের নবাব আলীর ছেলে উজ্জ্বল মিয়া বাদশা মিয়ার লোকজনকে অকথ্য ভাষায় বকা দেয়। এক পযাের্য় দুপক্ষের মধ্যে সংঘষর্ বাধে। এ সময় একপক্ষ অপরপক্ষের লোকজনের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ইটপাটকেল বাদশা মিয়ার বুকে পড়লে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক বাদশা মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কমর্কতার্ (ওসি) ইয়াছিনুল হক জানান, মসজিদের ইমাম নিয়োগ নিয়ে সংঘষের্ বাদশা মিয়া নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।