বিষমুক্ত সবজি চাষে রিনার ভাগ্য বদল

প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

দেলদুয়ার (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার মামুদপুর মধ্যপাড়া গ্রামে বিষমুক্ত সবজি ক্ষেতে গৃহবধূ রিনা বেগম Ñযাযাদি
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার মামুদপুর মধ্যেপাড়া গ্রামের গৃহবধূ রিনা বেগম বিষমুক্ত সবজি চাষ করে নিজের ভাগ্য বদল করে পাল্টে দিয়েছেন গ্রামের চিত্র। রিনা বেগম মামুদপুর মধ্যেপাড়া গ্রামের আইয়ুব আলীর স্ত্রী। কৃষক পরিবারে জন্ম তার। ছোট বেলা থেকেই কৃষি কাজে সহযোগিতা করেছেন বাবা-মাকে। স্বামীর প্রেরণায় ১৯৯১ সালে ৭০ শতাংশ জমি বগার্ নিয়ে রাসায়নিক ও জৈব সার ব্যবহার করে সবজি চাষ শুরু করেন। এরপর ২০০৭ সালে রাসায়নিক সার ব্যবহার বজর্ন করে নিজের তৈরি জৈব সার ব্যবহার করে চাষ শুরু করেন। জৈব সার ব্যবহার করে সবজি চাষের ফলন আরও বেশি হয়। বিষ পরিবেশ ও মানুষের দেহে মারাত্মক ক্ষতি করে। রাসায়নিক সারে চাষকৃত সবজি ফসল খেয়ে শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় । এ জন্যই রিনা বেগম সবজি ও অন্য ফসল চাষ করতে জৈবসার ব্যবহার করছেন। তার সবজি বাগানে বেগুন, চাল কুমড়া, ধুন্দল, চিচিঙ্গা, কাকরোল, কচু, মরিচ, হলুদ ও লেবু চাষ করছেন। নারী হয়েও রিনা বেগম বিষমুক্ত সবজি ও অন্য ফসল চাষ করে আদশর্ চাষি হিসেবে জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থার নিকট থেকে পুরস্কার লাভ করেছেন । রিনা বেগম বলেন, তার মতো অন্য নারীরা বিষমুক্ত সবজি চাষ আবাদ করে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে অংশ নিতে পারেন। এতে ভবিষ্যতে মানুষ রোগমুক্ত জীবন যাপন করতে পারবে। ফলন ভালো পাওয়ার জন্য বীজ খুব গুরুত্বপূণর্। তাই রিনা বেগম বীজ সংরক্ষণ করেন । বতর্মানে তার সংরক্ষণে প্রায় ১০০ জাতের সবজি ও ফসলের বীজ রয়েছে। তিনি শুধু দেশেই নয়, বিষমুক্ত সবজি ও ফসল চাষ করে বিদেশেও পরিচিতি লাভ করেছেন । তিনি এশিয়ার মধ্যে চার জন আদশর্ চাষীর মধ্যে শ্রেষ্টত্ব পেয়েছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগ জানান, রিনা বেগম একজন সফল ও আদশর্ চাষি । তাকে সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হয়।