বাউফলের কারখানা ঘাটে ভিড়ছে না কোনো লঞ্চ

প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

বাউফল (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কারখানা লঞ্চঘাটে দীঘর্ ৬ মাস ধরে ভিড়ছে না ঢাকাগামী কোনো দ্বিতল লঞ্চ। দীঘির্দন ধরে এই ঘাটে লঞ্চ না ভেড়ায় চরম দুভোের্গর শিকার হচ্ছে সাধারণ যাত্রীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, লঞ্চমালিক কতৃর্পক্ষের খামখেয়ালিপনা এবং বিআইডাবিøউটিএ কতৃর্পক্ষের উদাসীনতার কারণেই এই ঘাটে ভিড়ছে না ঢাকাগামী কোনো দ্বিতল লঞ্চ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীঘির্দন ধরে লঞ্চ না ভেড়ার কারণে যাত্রীদের সুবিধাথের্ প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নিমির্ত পন্টুনটি পড়ে রয়েছে অযতœ অবহেলায়। পন্টুনে ওঠার সিঁড়ি ভেঙে যাওয়ায় মূল সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পন্টুনটি। যাত্রীদের বিশ্রামের জন্য সরকারি অথার্য়নে এই ঘাটে নিমার্ণ করা হয়েছে একটি পাকা ভবন। পযার্প্ত যাত্রী, যাত্রীদের বিশ্রামাগার এবং পন্টুন থাকলেও এই ঘাটটিতে ভিড়ছে না ঢাকাগামী কোনো দ্বিতল লঞ্চ। স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, নদীর নাব্যতা সংকটের অজুহাত দেখিয়ে কেবল খামখেয়ালী করেই এখানে ঘাট দেয় না ঢাকাগামী কোনো লঞ্চ। সম্প্রতি নদীর নাব্যতা ফিরাতে পানি উন্নয়ন বোডর্ কতৃর্ক এই নদীতে ব্যাপক ড্রেজিং করে। নদী থেকে ড্রেজিং করে সেই বালু ফেলা হয়েছে কারখানা লঞ্চঘাটসংলগ্ন প্রায় ৫০০ একর আবাদি জমিতে। লঞ্চ ভেড়ার আশায় স্থানীয়রা তাদের এই ক্ষতি মেনে নিলেও মিলছে না সুফল। লঞ্চ না ভেড়ায় কাছিপাড়া কনকদিয়া ইউনিয়নের ছত্রকান্দা, কারখানা, দরিয়বাদ, মান্দারবন, পাকডাল, বীরপাশা, জয়ঘোড়া, সুরদী, বৌলতলী, ঝিলনা, অমরখালি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষকে পোহাতে হয় চরম দুভোর্গ। বতর্মানে এই এলাকার সাধারণ যাত্রীদের ঢাকা যেতে ব্যবহার করতে হচ্ছে পাশ্বর্বতীর্ বাকেরগঞ্জ উপজেলার আফালকাঠি লঞ্চঘাট। গভীর রাতে ওই ঘাটে লঞ্চ নোঙর করায় যাত্রীদের কারখানা নদী পার হয়ে গন্তব্যে পেঁৗছাতে পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। সব থেকে বেশি বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা। এ বিষয়ে কারখানা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হোসেন হাওলাদার বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে এই লঞ্চ ঘাটটি দিয়ে সাধারন মানুষ ঢাকা, বরিশাল ভোলার সাথে যাতায়েত করে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এই ঘাটে লঞ্চঘাট না দেয়ায় চরম দুভোের্গর শিকার হচ্ছি আমরা। সাধারণ মানুষকে বাধ্য হয়ে ট্রলারযোগে পাশ্বর্বতীর্ বাকেরগঞ্জ উপজেলার আফালকাঠি লঞ্চঘাটে গিয়ে লঞ্চে উঠতে হয়। নারী ও শিশুদের জন্য এ দুভোর্গ একেবারেই অবণর্নীয়। পটুয়াখালী জেলা অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহনের সহকারী পরিচালক খাজা সাদিকুর রহমান বিআইডবিøউটিএ কতৃর্পক্ষের উদাসীনতার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি শীঘ্রই সরেজমিনে ঘাটটি পরিদশর্ন করব এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।