তিলচাষে আগ্রহ নেই কৃষকের

প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) সংবাদদাতা
জমি থেকে তিল কেটে নিয়ে যাচ্ছেন কৃষক Ñফাইল ছবি
শস্য ভাÐারখ্যাত চলনবিলের পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার বিস্তীণর্ মাঠজুড়ে একসময় তিলের চাষ করা হতো। তিলের তেলের চাহিদারও কমতি ছিল না। এখন নানা কারণে দিন, দিন তিল চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন এখানকার কৃষকরা। ফলে এ উপজেলায় আশংকাজনকভাবে কমতে শুরু করেছে তিলচাষ। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছর এ উপজেলায় তিল চাষ করা হয়েছিল ১৩০ হেক্টর। আর চলতি মৌসুমে কমে তা দঁাড়িয়েছে মাত্র ১০০ হেক্টরে। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১ বিঘা জমিতে তিলচাষ করলে ৪/৫ মণ ফলন পাওয়া যায়। বতর্মানে মণপ্রতি তিলের বাজার দর ১৮০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা। আর বিঘাপ্রতি তিল উৎপাদনে কৃষকের খরচ হয় প্রায় ২৮০০ থেকে ৩০০০ হাজার টাকা। এতে লাভের মুখ দেখতে পায় না কৃষক। তাছাড়া বাজারে এখন আর আগের মতো তিলের তেলের চাহিদাও নেই। তিলের তেলের পরিবতের্ মানুষ সরিষা ও সয়াবিন তেল ব্যবহারে সাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। কৃষকরা জানান, বিগত বছরগুলোতে পাটের নায্যমূল্য পাওয়ায় পাটচাষ ও বিদেশি জাতের সবুজ ঘাসের (জাম্বু/গ্যামা) আবাদ করছেন তারা। তা ছাড়া এ অঞ্চলটি দেশের প্রধান দুগ্ধ উৎপাদন এলাকা হওয়ায় এখানে সবুজ ঘাসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। চলনবিলাঞ্চলের এ উপজেলায় বন্যাপরবতীর্ মৌসুমে জমিতে একবার খেসারি বুনার পর সবুজ এ ঘাসের চাষ করা হয়। এটি একবার বুনে জমিতে বন্যার পানি আসা পযর্ন্ত ৪/৫ বার কাটা যায়। কৃষকরা বন্যার সময় গবাদি পশুকে ধানের খড় এবং অন্য সময় সবুজ ঘাস হিসেবে জাম্বুঘাস খাইয়ে থাকেন। উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের বেশ কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, তিল চাষে কৃষকরা লাভের মুখ দেখতে পায় না। তা ছাড়া এলাকায় সবুজ ঘাস চাষের ফলে এখানে তিল চাষ কমতে শুরু করেছে। এ ব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি কমর্কতার্ সুস্থির চন্দ সরকার বলেন, অন্যান্য ফসলের তুলনায় তিলচাষ অলাভজনক হওয়ায় আবাদ কম হয়েছে। তবে ডাল, তেল ও মসলাজাতীয় ফসল চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষক উদ্বুদ্ধকরণে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।