আশাশুনির বড়দলে ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ, হুমকিতে পরিবেশ

প্রকাশ | ০৩ মে ২০২৩, ০০:০০

আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
আশাশুনি উপজেলা বড়দলে ইটভাটায় আইন অমান্য করে অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। আর এই কাঠ পোড়ানোর বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় জনবসতি পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে। নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন ফল, ফসল ও প্রাকৃতিক পরিবেশ। জানা গেছে, উপজেলার বড়দল ইউনিয়নে মোট চারটা ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটার দু-একটি ছাড়া কোনোটারই হালনাগাদ লাইসেন্স নবায়ন বা পরিবেশের ছাড়পত্র নেই। এইসব ভাটায় একাধিকবার অভিযানে জরিমানা করা হলেও পুনরায় তারা আবারো অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, এ কে এস ব্রিকস ভাটার চারদিকে কাঠের স্তূপ করে রাখা হয়েছে। শ্রমিকরা সেই কাঠ কেটে পোড়ানোর উপযুক্ত করছেন। পাশেই এফএলএস ব্রিকসেরও একই অবস্থা। স্থানীয় রফিকুল ইসলাম বলেন, 'জনবসতি এলেকায় সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে ইটভাটা গড়ে তোলা হয়েছে। কয়লার দাম বাড়তি থাকায় কাঠ দিয়ে ইট পোড়াচ্ছে। ফলে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি ও প্রাকৃতিক পরিবেশ।' কাঠ পোড়ানোর বিষয়ে এ কে এস ব্রিকসের ম্যানেজার জহুরুল ইসলাম বলেন, 'কয়লার দাম অনেক বেশি। তাই আমরা কয়লা কিনতে পারছি না। এ কারণে কয়লার পরিবর্তে কাঠ পুড়িয়ে ইট প্রস্তুত করছি।' আশাশুনি ইউএনও ইয়ানুর রহমান বলেন, 'ইটভাটায় কাঠ পোড়ানোর বিষয়টি আমি শুনেছি, খোঁজ নিয়ে অভিযানের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' সাতক্ষীরা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে সেখানে অভিযান চালিয়ে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো ও পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকায় তিনটি ভাটায় ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং তাদের কাঠ না পড়ানোসহ কাগজপত্র প্রস্তুত করে ভাটা পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।