ঈশ্বরদীতে উৎপাদন হচ্ছে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন

প্রকাশ | ০৩ মে ২০২৩, ০০:০০

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
মাসিক চুক্তিতে সব কুল ঠিক রেখেই ঈশ্বরদীতে উৎপাদন হচ্ছে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন। ব্যাগ হিসেবে ছেয়ে গেছে বাজার। তবে পরিবেশ অধিদপ্তর পাবনা কর্মকর্তারা বলছেন, বাজারে ব্যবহারের পলিথিন উৎপাদনের জন্য ঈশ্বরদীতে কাউকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। আর পলিথিন উৎপাদনকারী বলেছেন, পলিথিন উৎপাদনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র নেওয়া আছে। এ ছাড়া স্থানীয় প্রশাসনসহ সব কুলকে মাসোয়ারা চুক্তিতে ঠিক রেখেই তিনি পলিথিন উৎপাদন করছেন। জানা যায়, ঈশ্বরদী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের শৈলপাড়া এলাকায় নওফেল মালিথার ছেলে শিপন আলী মালিথা নিজ বাড়িতে উৎপাদন ও বাজারজাত নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদনের বিশাল কারখানা স্থাপন করেছেন। সেখানে মাসিক কোটি টাকার লক্ষ্য নিয়ে উৎপাদিত হচ্ছে পলিথিন। এই কারখানায় শিপন সুপার ১নং কোয়ালিটি নামে উৎপাদিত পলিথিন ঈশ্বরদীসহ আশপাশের পাবনা, নাটোর, কুষ্টিয়া, বগুড়া জেলার উপজেলার হাটবাজার, শপিংমলে সরবরাহ করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, আবাসিক এলাকার মধ্যে অবৈধভাবে পরিবেশ নষ্টকারী পলিথিন উৎপাদন করা হচ্ছে। এলাকার মাটির গুণগতমান নষ্ট হচ্ছে। এলাকাবাসী অভিযোগ করলে মাঝেমধ্যে প্রশাসনের লোকজন এসে কারখানা ঘুরে চলে যান। পলিথিন কারখানার মালিক শিপন আলী মালিথা জানান, পলিথিন উৎপাদনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর শাখা থেকে ছাড়পত্র নেওয়া আছে। তার কারখানায় ছোট নয় বড় পলিথিন তৈরি করা হয়। ছোট পলিথিন তিনি ঢাকা থেকে কিনে আনেন। সেই পলিথিন স্থানীয়ভাবে বাজারজাত করেন বলে দাবি করেন শিপন আলী মালিথা। তবে প্রশাসনের বিভিন্ন শাখার মধ্যে নিজস্ব ঝামেলা থেকে তার পলিথিন কারখানাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছে দাবি করে শিপন আলী মালিথা জানান, তার কারখানায় পলিথিন উৎপাদনের ছাড়পত্র থাকায় অভিযানের পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে জব্দকৃত পলিথিন ফেরতও দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর পাবনা শাখার পরিদর্শক জিএম নজরুল ইসলাম জানান, মাসোয়ারার চুক্তির কারণে অভিযান চালানো হয় না, কথাটি সঠিক নয়। মূলত জনবলের সংকটের কারণেই নিয়মিত অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছে না। জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হোসাইন জানান, শিপন এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ফিড মিলের বস্তার ভেতরে থাকা বড় পলিথিন তৈরির ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তিনি সেই ছাড়পত্র দেখিয়ে পলিথিন উৎপাদন করছেন। এ খবরটি জানা ছিল না। এ বিষয়ে শিগগিরই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ বিষয়ে ঈশ্বরদী সহকারী কমিশনার (ভূমি) বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত টিএম রাহসিন কবির জানান, ঈশ্বরদীতে ভূমির উর্বরতা ও পরিবেশ নষ্টকারী নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদনের বিষয়টি জানা ছিল না। খোঁজ নিয়ে অবশ্যয় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।