ফুলবাড়ীতে অনাবৃষ্টির কারণে কমেছে লিচুর ফলন

আকাশছোঁয়া দামে হতাশ নিম্নবিত্তরা

প্রকাশ | ৩১ মে ২০২৩, ০০:০০

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে জমে উঠছে জেলার ঐতিহ্যবাহী মৌসুমি ফল লিচু বাজার। তবে লিচুর আকাশছোঁয়া দাম হওয়ায় কিনতে পারছে না নিম্ন আয়ের মানুষ। নিত্যপণ্যের দাম দিতেই পকেট ফাঁক যাদের তাদের কাছে লিচুর অতিরিক্ত দাম তো 'মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা'রই সমান। মৌসুমি ফল ব্যবসায়ীরা বলছেন, লিচু শুরু হওয়ার অনেক আগে বাগান মালিকের কাছ থেকে বেশি দামে বাগান কিনেছেন তারা। কিন্তু অনাবৃষ্টির কারণে লিচুর ফলন হয়নি। ফলে তারা এখন বেশি দামে বিক্রি করেও মূলধন খুঁজে পাচ্ছেন না। লিচুর বাজার ঘুরে দেখা যায় বাজারে বোম্বাই, বেদনা জাতের লিচু উঠতে শুরু করেছে। অনেকে চায়না-থ্রি জাতের লিচুও নিয়ে এসেছেন। প্রতিটি বেদানা জাতের লিচু ৫ টাকা থেকে ৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বোম্বাই জাতের। চায়না-থ্রি জাতের প্রতিটি লিচু ১০ টাকা থেকে ১২ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। অথচ গত মৌসুমে বেদনা ও বোম্বাই জাতের লিচু বিক্রি হয়েছে প্রতিটি দুই থেকে তিন টাকা দরে ও চায়না থ্রি জাতের লিচু বিক্রি হয়েছে ৫ টাকা থেকে ৬ টাকা দরে। লিচু ব্যবসায়ী মহসিন আলী বলেন, তিনি ছয়লাখ টাকা দিয়ে একটি চায়না থ্রি জাতের লিচুর বাগান কিনেছেন। আশা ছিল দুই লাখ পিচ লিচু পাবেন। কিন্তু ৫০ হাজার পিচ লিচু পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। একই অবস্থা অনান্য জাতের লিচুর বাগানেও। লিচু ব্যবসায়ীরা বলছেন অনাবৃষ্টির কারণে বাগানের গত মৌসুমের তুলনায় অর্ধেক লিচুও ফলন হয়নি। তারা যে দামে বাগান কিনেছেন সেই টাকা ফিরে পাওয়ায় কঠিন হয়ে পড়েছে। লিচুর খুচরা বিক্রেতারা বলছেন বাগান থেকে প্রতিটি চায়না থ্রি জাতের লিচু ১০ টাকার থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, এ কারণে তারা ১২টার কমে বিক্রি করতে পারছে না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার বলেন, উপজেলায় ৬৮ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। অনাবৃষ্টির কারণে লিচুর বাগানে ক্ষতি নিবারণের জন্য তারা লিচু বাগান মালিকদের সেচ দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছেন। তবে সব বাগানে সেচ দেওয়ার উপকরণ না থাকায় কিছুটা ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।